বরেণ্য কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে এ বছরের নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় তার সাহিত্য কীর্তির জন্য মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ২৭ সেপ্টেম্বর মেলার শেষ দিন এই পুরস্কার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবে। মুক্তধারার নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ১০ দিনব্যাপী নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা। মুক্তধারার আয়োজনে এটি ২৯তম বাংলা বইমেলা। বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার বাইরে এটিই বৃহত্তম ও সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বাংলা বইমেলা। করোনাভাইরাসের কারণে এই মেলা এবছর ভার্চুয়াল বা অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুজিব বর্ষে আয়োজিত এই মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি। এবছর প্রায় ৩০টি দেশ থেকে বাংলা ভাষার কবি-লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করছেন। সোম থেকে শুক্রবার নিউইয়র্ক সময় রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বইমেলা চলে। শনি ও রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বইমেলায় ২৫টি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক মূল্যের ওপর ৫০ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে পৃথিবীর সকল দেশ থেকে বই কেনার সুযোগ রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে নিউইয়র্ক বইমেলা এই বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করে। বর্তমানে এর নাম মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার। মুক্তধারার অন্যতম উপদেষ্টা গোলাম ফারুক ভুঁইয়ার অর্থানুকুল্যে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
ইতিপূর্বে যারা মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তারা হলেন- কবি নির্মলেন্দু গুণ, বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি শামসুজ্জামান খান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং কথা সাহিত্যিক দিলারা হাশেম। এবছর পুরস্কার পেতে চলেছেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উদ্বোধন করেন সেলিনা হোসেন।
আজ ছিল বইমেলার ৫ম দিন। এদিন জাতির জনককে নিবেদিত কনসার্ট ছাড়াও আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে অবস্থানরত কবিদের ছিল লাইভ স্বরচিত কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। বইমেলা দেখার জন্য ও বই ক্রয় করার জন্য ভিজিট করুন:www.nyboimela.org, www.nyboimela.com.