কবি, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক জহিরুল হক ওয়ার্ল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়ন থেকে ‘কাইরাত ডুইসসেনেভ মেডেল ফর পোয়েটিক এক্সলেন্স’ পুরস্কার অর্জন করেছেন। ওয়াল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কাইরাত ডুইসসেনেভ পারম্যানের স্মরণে ২০২০ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালে ভারতের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে গুজরাট সাহিত্য একাডেমি ও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক গ্রুপ মোটিভেশনাল স্ট্রিপস থেকে তিনি যৌথভাবে পুরস্কার পেয়েছিলেন।
পুরস্কার পাওয়ার পরে জহিরুল হক বলেন, আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত; কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ওয়ার্ল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নকে। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ওয়াল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নের চেয়ারপারসন গুলহান আইটাকইয়নকয়জি, মোটিভেশনাল স্ট্রিপের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ওয়াল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সভাপতি শিজু এইচ পল্লিথাঝেথ, মোটিভেশনাল স্ট্রিপসের প্রধান উপদেষ্টা ও ওয়াল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সভাপতি কার্লোস হুগো, ওয়াল্ড নেশনস রাইটার্স ইউনিয়নের প্রথম সহসভাপতি ও মোটিভেশনাল স্ট্রিপসের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ শানাজারসহ সব জুরিকে।
১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থী জহিরুল হক। তার প্রকাশিত গ্রন্থ: কাব্য: পায়রার জলে স্বপ্নের বাসর (২০০৭), আপন মনে শূন্যে উড়ি (২০১১), গোলাপ আনিনি স্টেন নিয়ে এসেছি (২০১২)। ছোটগল্প: কাঁপা কাঁপা সুখে খোঁজে (২০০৬), দিকশূন্য বেরসিকের আর্তনাদ (২০০৭), দূরে কোথাও নিয়ে চলো (২০১৬)। উপন্যাস: দানবের সঙ্গে দিনরাত (২০০৮) রোমান্টিক কুকুর (২০১১)। প্রবন্ধ: প্রথাবিরোধী বর্ণমালা (২০০৭), রবীন্দ্রহৃদয়ে বাংলাদেশ (২০১২), বিদ্রোহী ও নিষিদ্ধ নজরুল (২০১৫)। এ ছাড়া তিনি পায়রা (২০০৮) নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন।
জহিরুল হক বর্তমানে ঢাকা ক্যামব্রিয়ান কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। তার জন্মস্থান বরগুনা জেলার কুমরাখালী গ্রামে।