তুমি আসলে সপ্তর্ষিমন্ডলে দেখা যায় অবস্মরণীয় দ্যুতি
তুমি আসলে শীতার্ত আকাশেও ভাসে স্বচ্ছ অভ্র-ভেলা,
তুমি আসলে জগতের সকল ফুলেরা মেলে ধরে পাপড়ি
তুমি আসলে ব্যলকনিতে বসে নাম না জানা পাখির মেলা ।
তুমি হাসলে শূণ্য ঘর ভরে যায় আলোর ঝলকানিতে
তুমি হাসলে দোরগোরায় ভীড় জমায় অতিথি সকল,
তুমি হাসলে আমার গভীর গোপন ক্ষতগুলো যায় মুছে
তুমি হাসলে ছাদের কোণে গোমরামুখো চাঁদ হয় চঞ্চল ।
তুমি ঘুমোলে বাগানের পাখিরা হয়ে যায় হঠাৎ নিরব
তুমি ঘুমোলে দক্ষিণ হাওয়ায় লাগে ভীষন দোলা,
তুমি ঘুমোলে নভোমন্ডলের সকল তারারাও হয়ে যায় চুপ
তুমি ঘুমোলে গলির মোড়ে গেয়ে ওঠে আপনভোলা ।
তুমি থাকলে মনে হয় বেঁচে থাকবো অযুত নিযুত বছর
তুমি থাকলে সহস্র অবুঝ স্বপ্ন দরজায় কড়া নেড়ে চলে,
তুমি থাকলে অনেক হারিয়েও হয়ে থাকি গর্বিত নৃপতি
তুমি থাকলে ভুলে যাই তোমার চলে যাবার সময় এলো বলে।