বিটোভেনের ‘এলিজি’ দুই মিনিট চুয়ান্ন সেকেন্ডের,
পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র সংগীতখণ্ড এবং
অন্যতম শ্রেষ্ঠ শোকাবহ সুর।
শুনে আমার ছেলে বলে—
যন্ত্র কী করে এত সুন্দর দুঃখের সুর তোলে!
বলি, যন্ত্রের পেছনে মানুষ আছে,
তার হৃদয়নিংড়ানো রক্ত তার মস্তিষ্কের কারখানায়
জারিত-বিজারিত হয়ে আঙুলের কম্পনে অংকিত হয়
পিয়ানোর রিডে—রিডগুলোও দেখতে বুকের পাঁজরের মতন।
বধির বিটোফেন কানে না শুনলেও তাঁর মস্তিষ্ক ও
হৃদয়ের অলিন্দসিঞ্চিত সুরের কম্পন তিনি দেখতে পেয়েছিলেন
তাঁর আঙুলের ছন্দময় নৃত্যপরতায়।
মোৎসার্টের সুরের মতই লোহিত সাগরের তরঙ্গমালা
ওঠে আর নামে মোটি স্টাইনমেৎস্-এর ‘সেনো উরিনো’তে।
তাই যন্ত্রের শোক ব্যতিক্রম নয়, স্বাভাবিক,
যেমন স্বাভাবিক একটি মানুষের মুহূর্তেই নম্রতার খোলস ছেড়ে
ভয়ানক হয়ে ওঠা।
যেমন স্বাভাবিক সুস্থ-সহজ কথা বলা কোনো লোক
যখন তোমাকে বলে, “তোকে খুন করে ফেলবো!”
শুনে ছেলে বলে, তাহলে মানুষেরা তখন যন্ত্র হয়ে যায়!
হ্যাঁ, তবে তখনও সেই যন্ত্রের পেছনে মানুষই থাকে—
আমি বলি।
১২-০৪-২০২৩