খুব বড়ো পদে চাকরি করেন যদু মিয়া। সরকারি কাজে দেশ হতে টরন্টো এসে উঠেছেন বন্ধু মামুনের বাসায়। দুজনই রাজু সাহেবের এককালের কাছের মানুষ।
যদুর অনুরোধে মামুন রাজু সাহেবকে ফোন দিলেন। রাজু থাকেন কানাডার এডমন্টন শহরে। টরন্টো হতে যোজন যোজন দূর। এতটাই দূরে যে এডমন্টনে যখন সকাল ছটা, টরোন্টোতে তখন আটটা বেজে যায়; মানে, দুঘণ্টার সময়ের পার্থক্য।
মামুন রাজু সাহেবের সাথে সৌজন্যমূলক কুশল বিনিময় করে দ্রুত তাঁর বন্ধু যদুকে ফোন দিলেন।
বেশ কিছুক্ষন কথা হলো যদু মিয়া আর রাজু সাহেবের। দেশে থাকতে তাঁরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, একই হলে থাকতেন। স্বভাবতঃই, অনেক পুরোনো স্মৃতি দুজনেরই বুকে জমে ছিল। তাঁরা রাজু সাহেবকে রাজু ভাই বলে ডাকেন।
কথা শেষ করে যদু ফোন রেখে দিলেন। তবে, তার ফোন রাখাটা যথাযথ হয়নি। মানে, রাজু তখনও অন্য প্রান্তের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিলেন।
যদু মিয়া মামুনকে প্রশ্ন করলেন: 'রাজু ভাইয়ের ইমিগ্রেশন ব্যবসা কেমন চলছেরে?' [রাজু সাহেব কানাডায় ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট, বা অভিবাসন পরামর্শক।]
- মনে হয় ভালো, তবে লোকটা কিন্তু ঘাউরা প্রকৃতির, কিছুটা লোভীও।
- বলিস কি, লোভী হলে দেশের সরকারি চাকুরিতেই তো থেকে যেতে পারতেন; উনি কি অতো টাকাপয়সা কানাডায় কামাতে পারবেন?
- না, তা বুঝাইনি। বলতে চাচ্ছি, টাকা ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না।
- ওহ, প্রফেশনাল ফি এর কথা বলছিস? তা তো উনি নেবেনই।
কথা যখন এ পর্যায়ে ঠিক তখনই ফোনটা জায়গামতো রাখা হয়েছে কিনা যদু মিয়াকে পরখ করে দেখতে বললেন মামুন। যদু মিয়া এবার ফোনটা ঠিকঠাক রাখলেন। ফলে, অপর প্রান্তের কথাবার্তা রাজু আর শুনতে পাননা।
এই যে টাকা পয়সা ছাড়া কথা না বলা লোভী মানুষ রাজু, তিনিও কিন্তু মাঝেমাঝে ফ্রি সার্ভিস বা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকক্ষেত্রে তা না দিয়েও উপায় থাকে না; বিশেষতঃ যখন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের অনুরোধ এড়িয়ে চলার সুযোগ থাকে না। তেমনই একদিনের ঘটনা শুনুন।
রাজু সাহেবকে তাঁর ভাবি সম্পর্কের এক নিকটাত্মীয়া দেশ থেকে ফোন দিলেন দেশ হতে।
- কেমন আছেন ভাই? আমি আপনার পাখি ভাবি।
- সালাম, কেমন আছেন? আপনি কি জমির ভাইয়ের ...
- হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, উনার মিসেস।
প্রায় দুই যুগ আগের কথা। পাখি নামের এই মেয়েটির সাথে জমিরের তুখোড় প্রেম ছিল। কিন্তু, তখন জমির ছিল বেকার যুবক। তার বাবা ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, আর, জমির উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করে মহল্লার চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিত। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী একজনের সাথে পাখির পরিবার তাঁর বিয়ে পাকাপাকি করে ফেলে। খবর শুনে জমির নিয়েছিল গলায় ফাঁস। ভগবান সদয় ছিলেন। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে জমিরকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে সে যাত্রায়। পরে অনেক নাটকীয়তার পর জমিরের সাথেই পাখির বিয়ে হয়। সেই পাখি ভাবীর ফোন পেয়ে রাজু সাহেবের মনে পুরোনো স্মৃতিমালা জেগে উঠে ফকফকা সূর্যালোকের মতো।
সম্বিৎ ফিরে পেয়ে রাজু আবারো কথা শুরু করলেন।
- কি মনে করে আজ এতো বছর পর আমাকে ফোন দিলেন ভাবি; কেমন আছেন আপনি?
- ভালো আছি ভাই। আপনি তো ব্যস্ত মানুষ, তাই ফোন দিতে ভয় করে। তাছাড়া, শুনেছি আপনি ফি ছাড়া কথাও বলেন না।
হি হি হি .. খলখলিয়ে হাসেন পাখি। বুকে কাঁপন, আর, গালে পড়ে টোল।
- কি যে বলেন ভাবি! [সরবে হেসে] এই যে আপনার সাথে ফি ছাড়াই কথা বলছি এখন।
- আসলে একটা জরুরি আলাপ করতে আপনাকে ফোন দিয়েছি। আমার বান্ধবী চৈতির বিষয়ে।
- চৈতিটা কে যেন?
- আপনি চিনবেন না, চৈতি আমার স্কুল ফ্রেন্ড। তার হাসব্যান্ড এখন কানাডায়। তবে, ইমিগ্রেশন জটিলতা আছে কিছুটা। আপনার হেল্প দরকার।
- তাই? আচ্ছা, চৈতিকে বলুন ইমেইল বা ফোনে আমার সাথে যোগাযোগ করতে। তবে, আপনার রেফারেন্স যেন দেয়। অপরিচিতের ফোন অনেক সময় ধরা হয়না।
- ও আপনাকে ইমেইল দিয়েছিল। আপনি দেড়শো ডলার ফি চেয়ে কথা বলার শিডিউল নিতে বলেছিলেন। আর্থিক সমস্যা চলছে ওর। স্বামী ঠিকমতো টাকা পাঠায় না। ওকি মিনিট দশেক ফ্রি কথা বলতে পারবে? দুই বাচ্চা নিয়ে খুব টেনশনে আছে চৈতি, খুব টেনশন!
- ঠিক আছে, তাঁকে বলুন সম্ভব হলে এখনই ফোন দিতে। আমি কিছুক্ষন ফ্রি আছি। - -
চৈতি থাকেন ঢাকায়। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বিদেশে। দীর্ঘদিন মানে প্রায় সাত-আট বছর। বাংলাদেশ থেকে তিনি কিভাবে যেন ইউরোপের একটা দেশে গিয়েছিলেন। সেখানে পড়েছিলেন ইমিগ্রেশন বিষয়ক জটিলতায়। সে অনেক লম্বা কাহিনী। চৈতি সব কথাই অকপটে রাজু সাহেবের সাথে শেয়ার করলেন। ডাক্তারের কাছে সব কথা খুলে না বললে যেমন ডাক্তার সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারেন না, ইমিগ্রেশনের বিষয়গুলোও তেমনই। চৈতি শিক্ষিত মেয়ে, এমএ পাশ; অফিশিয়াল বিষয়গুলো ভালোই বুঝেন। তাই, কোন কথা লুকাননি।
আদ্যোপান্ত শুনে রাজু সাহেব চৈতিকে বললেন তাঁর স্বামী যেন তাঁকে (রাজু) সুযোগমতো ফোন দেন। তাঁর সমস্যা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা দরকার।
পরদিন চৈতির স্বামী জাকির হোসেনের সাথেও রাজুর কথা হলো। আলাপকালে রাজু সাহেব যা উপযুক্ত মনে করেছেন সেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। কোনপক্ষের কাছ থেকেই এ খাতে কোন পরামর্শ-ফি নেননি তিনি। এছাড়া, ফি নেবেনই বা কেন? দীর্ঘকাল পর একজন নিকটাত্মীয়া যেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর জন্য সহায়তা চেয়ে একটু কথা বলতে চেয়েছেন, সেখানে কি আর ফি দাবি করা যায়? জীবনে টাকাপয়সাই তো সব নয়, আত্মীয়তা বা সামাজিকতা বলে একটা বিষয়ও আছে তো! রাজু সাহেব সম্পর্কে মামুন তাঁর বন্ধুকে যা বলেছেন তা নিছক বাড়াবাড়ি। মামুনরা এমনই। মুখোমুখি হলে তেলের ডিব্বা নিয়ে বসে যাবে, আর আড়ালে করে সমালোচনা। টিপিক্যাল বাঙালি আর কি!
পাখি কিন্তু গত প্রায় দুই দশকের আত্মীয়তায় কোনদিন রাজু সাহেবকে এভাবে ফোন করেননি। কানাডা অভিবাসনে ফ্রি সার্ভিস পেতে কারো জন্য তদবিরও করেননি। নিঃস্বার্থ পরোপকার, অর্থাৎ, বান্ধবীর প্রয়োজনেই তাঁর এ ফোন করা।
রাজু মনে মনে ভাবলেন, বাঙালিরা তো সচরাচর বিনা স্বার্থে কারো উপকার করে না। পাখি ভাবি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমই বলা চলে। তাঁর হৃদয়টা নরম, তুলতুলে; একইসাথে বন্ধুবৎসলও, যা যোগাযোগের অভাবে এতদিন রাজু সাহেবের জানা ছিল না। পাখি আক্ষরিক অর্থেই একজন পরোপকারী মানবিক মানুষ, বন্ধুতার এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ভক্তি-শ্রদ্ধায় তাঁর পাখি ভাবীকে আজ নতুন করে আবিষ্কার করলেন রাজু। আসলে বিপদে না পড়লে মানুষ চেনা যায় না। তা হতে পারে নিজের বিপদ বা অন্যের। বাঙালি সমাজে পাখির মতো কিছু নিবেদিতপ্রাণ পরোপকারী মানুষ থাকলে দেশটা কেবল বক্তৃতা বিবৃতিতে নয়, সত্যি সত্যিই সোনার বাংলা হয়ে যেতো।
এ অবসরে অতীতের অনেক তুচ্ছ-অতুচ্ছ ঘটনাও রাজু সাহেবের মনে উঁকি দিয়ে যায়। পাখি ভাবি একসময় এতো ভালোমানুষ ছিলেন না; ছিলেন খুব বদমেজাজি। গায়ে-গতরে স্বামী জমিরের চেয়ে সুঠাম তিনি। রেগে গেলে বেসামাল হয়ে মাঝে মাঝে কৃশকায় জমিরের গায়ে হাত তুলতেন। জমিরের দাঁতের উপরের পাটিতে যে সোনার দাঁতটি চকচক করে ওটা নাকি পাখির কারণেই লাগাতে হয়েছিল। কাজের মেয়ের সাথে অহেতুক সন্দেহ করে পাখি একবার জমিরকে নাকে মুখে কিল ঘুষি মেরেছিলেন। তখনই নাকি জমিরের মূল দাঁতটি ভেঙে যায়। কিশোরী কাজের মেয়ের বেডরুমের দরোজার ফাঁক দিয়ে ঘুমন্ত মেয়েটিকে দেখছিলেন জমির। এমন সময় পেছন থেকে এসে ঝাপটে ধরেন পাখি। জমিরের যুক্তি ছিল তিনি ওই রুম থেকে গোঙানির শব্দ শুনেছিলেন। কিন্তু, পাখি কি আর ওসব যুক্তি আমলে নেন? ... সে অনেক কথা, অনেক স্মৃতি। সেই পাখি ভাবির এমন মানবিক পরিবর্তনে রাজু ভেতরে ভেতরে বেশ অবাক হন, আর ভাবেন, 'মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়', এ অমূল্য কথাগুলো কি মুনীর চৌধুরী সাধে বলেছিলেন? - -
তিনদিনের মাথায় সেই পাখি ভাবি রাজু সাহেবকে আবারো ফোন দিলেন।
- কেমন আছেন ভাই?
- জি, ভালো। আপনি?
- আপনাকে আরেকটু বিরক্ত করছি। চৈতিরা কি আপনার সাথে কথা বলেছিল?
- জি, বলেছে।
- ওদের সমস্যাটা কি জটিল কিছু?
- হ্যাঁ, জটিলই বলা চলে। আপনি জানেন তো, ইমিগ্রেশন সম্পর্কিত বিষয়; একবার প্যাঁচ লেগে গেলে তা ছাড়ানো কঠিন।
- কি হয়েছে একটু খুলে বলবেন?
- ওসব ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, একান্ত গোপনীয়। আমি তা আপনাকে বলতে পারবো না। আপনি বরং চৈতিকেই জিজ্ঞেস করতে পারেন। উনি আপনার বান্ধবী; চাইলে আপনার সাথে শেয়ার করবেন।
- ওকে জিজ্ঞেস করতে যাবো কেন, আপনি তো সবই জানেন? আপনিই তো খুলে বলতে পারেন আমাকে।
- আমি লিগেলি অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলতে পারি না ভাবি; প্রফেশনাল কিছু বিধিনিষেধ আমাদের মানতে হয়। জানেন তো, আমি কানাডার একজন রেজিস্টার্ড ইমিগ্রেশন প্রফেশনাল, আরসিআইসি। ক্লাইয়েন্টের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করলে সাজা পেতে হতে পারে। কানাডা যে নিয়মে চলা দেশ!
- পারবেন না কেন? এখানে আমি-আপনি ছাড়া আছে কে? বাইরের কেউ তো কিছু শুনছে না। এছাড়া, ওরা আপনার ক্লাইয়েন্ট হলো কিভাবে, আপনি তো কোন ফি নেননি?
- পরামর্শ যেহেতু দিয়েছি, তাই, ফি না নিলেও ক্লাইয়েন্ট। এটাই নিয়ম।
- ভাবীর সাথে এতো নিয়ম ফলাতে নেই, ঝটপট বলে ফেলুন ঘটনা আসলে কি?
- না না ভাবি, আমি সেটা পারবো না। নীতিগতভাবেও আমি এ কাজ করতে পারি না।
- বাহ্ বাহ্, আপনি তো দেখি আসলেই ঘাউরা মানুষ। এতবছর পরও এতটুকু বদলাননি। দেশে থাকতে আমার খালাতো বোনের বাড়ির নক্সা অনুমোদনে একটু হেল্পের জন্য আপনার অফিসে গিয়েছিলাম, আপনি না করেছিলেন, মনে আছে? [কানাডায় পাড়ি জমানোর আগে রাজু বাংলাদেশে সরকারি চাকরি করতেন।]
- ঘাউরা বলেন আর যাই বলেন, আমি চৈতি বা তাঁর স্বামীর বিষয়ে কোন তথ্য আপনাকে দিতে পারবো না ভাবি; মাফ করবেন।
- আচ্ছা, কিছু না বলুন তাতে সমস্যা নেই, কেবল একটি প্রশ্নের হ্যাঁ-না জবাব দেবেন; এ ছোট্ট আবদারটুকু রাখবেন তো?
- চেষ্টা করবো, বলেন।
- আমি শুনেছি চৈতির হাসব্যান্ড এখনো কানাডায় ঢুকতেই পারেনি, যদিও চৈতি বলেছে উনি কানাডায়। ও মনে হয় মিথ্যা বলছে। আপনি শুধু বলবেন, উনি কি কানাডায় ঢুকেছেন নাকি এখনো ঢুকতে পারেননি? হ্যাঁ বা না বললেই চলবে।
- ভাবি, কিছু মনে করবেন না। আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উনার ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসই জানতে চাইছেন। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না।
- তাহলে ওদের সাথে আপনাকে কথা বলিয়ে দিয়ে আমার লাভটা কি হলো?
- লাভ-লোকসান হিসেব করে ওদের সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছেন তা আঁচ করতে পারলে আমি আপনার অনুরোধ রাখতামই না। আমাকে ক্ষমা করবেন, আজ এখানেই কথা শেষ করতে চাই। - -
পাখি রেগেমেগে আগুন। খট করে ফোন রেখে দিলেন। সৌজন্যমূলক সালামও জানালেন না। কেবল তাই নয়, দীর্ঘদিনের আত্মীয় এবং ফেইসবুক বন্ধু রাজুকে ব্লকও মারলেন।
দুদিন পর দেখা গেলো পাখির স্বামী, মানে, জমিরও রাজু সাহেবকে ফেইসবুকে ব্লক করেছেন। একান্ত অনুগত ভৃত্যের মতো কোন বিষয়ের বিস্তারিত না জেনেই পাখির নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন এই মেরুদন্ডহীন জমির। স্ত্রৈণ আর কাকে বলে!
রাজু সাহেব প্রথমটায় ধারণা করেছিলেন কালের আবর্তে, প্রজ্ঞা, বয়স ও অভিজ্ঞতার কারণে পাখি ভাবি নিঃস্বার্থ, পরোপকারী, এক সুপ্রভ বাঙালি রমণীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কিন্তু, চৈতির এ ঘটনায় তিনি পরিষ্কার বুঝলেন, এই পরোপকার আসলে সেই পরোপকার নয়, এতে ছিল বান্ধবীর স্বামীর গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে সেই বান্ধবীকেই হেনস্তা করা কু-মানস। ভাগ্যিস, রাজু সাহেব পাখির সে ফাঁদে পা দেননি।
লেখক: এম এল গনি
পেশা: কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট (RCIC-IRB)
ইমেইল: info@mlgimmigration.com