চলছে অমর একুশে বইমেলা। পাঠকগণ খোঁজ করছেন তাদের পছন্দের লেখকের বই। তবে কিছু বই খুবই বিরল। যেমন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান, বাংলাদেশের বৃহত্তর জেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোর পুরাতন গেজেটিয়ার।
এসব বিরল বই ও নথি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদফতরের স্টলে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে সরেজমিনে গিয়ে দেখা দেখা যায়, মুদ্রণ ও প্রকাশনা স্টলে কৌতুহলী ও জ্ঞানতাপস পাঠকগণের ভিড়। তারা হাতে নিয়ে খুঁজে দেখছেন বিভিন্ন জেলার গেজেটিয়ার। আগ্রহের সঙ্গে খুলে দেখছেন ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধান।
স্টলের বইগুলো ঘেঁটে দেখা যায়, জেলা ভিত্তিক গেজেটিয়ার ও ব্রিটিশ থেকে এখন পর্যন্ত যত আইন আছে সেসবের কোড দিয়ে সাজানো হয়েছে স্টলটি। এছাড়া সরকারি নানা কাজের বইও রয়েছে এ স্টলে।
স্টলে দায়িত্বরত আছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের এই স্টলটিতে পাঠকরা অনেক আগ্রহ নিয়ে বইগুলো দেখে কিনছেন। আমি প্রতিদিনই স্টলে আসার চেষ্টা করি। তবে অফিসের কাজ থাকার কারণে হয়তো দুই-একদিন আসতে পারি না। তবে সুপারভাইজার ও অফিস এক্সিকিউটিভ ২ জনই সবসময় স্টলে থাকেন। তারা পাঠকদের বই দেখান ও বিক্রি করেন।
এই স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি ও মুদ্রণ ও প্রকাশনা বিভাগের কর্মচারী সুমন কান্তি চাকমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোন এলাকার নাম আগে কী ছিল, কোথায় কী কাজ হয়েছে, কোন এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পে কী ঋণ নেওয়া হয়েছে এর সবকিছু আছে গেজেটিয়ারে। অনেক নথি ঘেঁটে এসব বই প্রস্তুত করা হয়েছে। সচরাচর এসব বই পাওয়া না গেলেও বইমেলা থেকে সহজেই পুরনো এসব নথি জোগাড় করা যাবে। আমরা পাঠকদের এগুলো দেখায়।
এ স্টলে বই কিনতে আসা একজন আরিফ ইশতিয়াক। তিনি জানান, আমরা যারা গবেষণার জন্যে কাজ করি, আমাদের এসব বই খুবই কাজে আসে। যেহেতু এই বই গুলো তথ্য-উপাত্তের নথি সেক্ষেত্রে আমাদের কাজের নিয়মিত রেফারেন্স থাকে এসব বইয়ে।
উল্লেখ্য, এ স্টলে আরো রয়েছে আইনের কোডের ওপর ৪০টি খণ্ডের একটি বইয়ের সিরিজ। এছাড়া পুরানো সরকারি কার্যাবলী ও নীতিমালা এবং একদম নতুন কার্যাবলী ও নীতিমালার ওপরও বইও রয়েছে।