আর্ট ক্যাফেতে (৬০ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১) শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ‘রিওয়াইল্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য।
ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) উদ্যোগে এই প্রদর্শনীতে ৬০টির মতো আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের অনেক দুর্লভ বণ্যপ্রাণী। যেগুলো এখন বিলুপ্ত প্রায় বলা চলে। স্থান পেয়েছে অনাবিষ্কৃত পার্বত্য অঞ্চলের জীবন-জীবিকা ও জীববৈচিত্র্য।
সিসিএ’র অন্যতম উদ্যোক্তা ও বন্যপ্রাণী গবেষক শাহরিয়ার সিজার রলেন, ‘আমাদের এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহ ও সচেতনতা তৈরি করা। আমরা যে ফিলিংস পেয়েছি সেই ফিলিংস আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতেই এ প্রয়াস।’
তিনি বলেন‘, ‘এশিয়ার বিলুপ্তপ্রায় শিলা কচ্ছপের সফল প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই এসব কচ্ছপ জলাশয়ে উন্মুক্ত করা হবে। এক সময় ধারণা করা হতো শুধু সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ রয়েছে। কিন্তু আমরা পার্বত্য অঞ্চলেও বাঘের পায়ের ছাপ পেয়েছি। সুন্দরবনের যে ন্যাচার তাতে ৭০-৮০ বছর পর সেখানে স্বাভাবিক কারণেই বাঘ থাকতে পারবে না। সে কারণে বাঘকে রক্ষা করতে হলে পার্বত্য অঞ্চল হতে পারে দ্বিতীয় আদর্শ জায়গা।’
‘পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করেছি। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ক্যামেরা দিয়েছি। তারা অনেক দুর্লভ প্রাণীর অস্তিত্ব তুলে এনেছে, যেগুলো আমরা বিলীন বলে মনে করতাম। এসব বন্যপ্রাণী ফিরিয়ে আনার জন্য ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে হবে। ওরা ফিরতে চায়, ওদের জন্য একটু জায়গা করে দিতে হবে।’
শাহরিয়ার সিজার বলেন, ‘যখন বন্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ শুরু করি, আমাদের সাফল্যে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা রকম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তারা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে, আমরা নাকি বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে যুক্ত।’
‘মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করুন। না হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। আগে প্রমাণ করুণ, তারপর বলুন। অকারণে অপপ্রচার চালাবেন না। দয়া করে দেশের ক্ষতি করবেন না।’