এক.
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে আলিসারকুল গ্রামে যেতে লোকাল বাসে সময় লাগে মাত্র বিশ-পচিশ মিনিট। বশিরকে শহর চৌমোহনা থেকে তার স্কুল-শিক্ষক স্ত্রী আলতাবানু বাসে তুলে দেন সন্ধ্যা সাতটা দশে। শহর চৌমোহনা থেকে তার বাসায় ফেরার দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের। বাসা কলেজ রোডে, থানার পাশেই। বাসায় ফিরে আলতাবানু পরীক্ষার খাতা দেখার জন্যে মেঝেতে সব বিছিয়ে নিয়ে বসে টিভি ছাড়েন সারেগামা গানের অনুষ্ঠান দেখার জন্য। নোবেল গাইবে। তো, ওই ভারতীয় চ্যানেল খুঁজতে গিয়ে একটি চ্যানেলে গিয়ে দৃষ্টি আটকে গেল। ‘আল্লাগো’ বলে হাহাকার করে উঠলেন। এই চিৎকারকে হাহাকার বলা যায় না। হাহাকার সেটি যেখানে হারানোর ব্যথা থাকে। এই চিৎকারকে নিরুপায় বিলাপ হয়তো বলা যায়। কারণ ‘আল্লাগো’ বলার মধ্যেও ভরসা যেন নেই। যেন সব শেষ। যেন আর কোনো অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। কিন্তু আলতাবানু ঘুম থেকে জেগে ওঠেন যখন কালিঘাট রোডের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাদা চাদর বিছানো বিছানায় তখন রাত্রি অনেক। বর্ষাকাল। হাসপাতালের পাশেই ধানি পরিত্যক্ত ডোবা মতন জায়গা। ব্যাঙের কান্না। বিছানা থেকে নামতে গিয়ে বোঝেন তার হাতের কোথাও স্যালাইনের সিরিঞ্জ ঢোকানো। টান পড়ে। তাই ধীরে ধীরে চোখ বুজে খোলেন। কেউ নেই আশপাশে। করিডরে। দোতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তিনি রুম থেকে বেরিয়ে দোতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ান। আলিসারকুল ইউনিয়ন অফিসের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটি ধলামন্দিরের দিকে গেছে ওই পথ ভেসে ওঠে আলতাবানুর সামনে। ঠিক এভাবে বলা মনে হয় ঠিক না। আলিসারকুল, পুরো গ্রামটিই যেন দুলছিল। ছোপ ছোপ সবুজ ঘাসের দলার মতো। এ গ্রামটিতে অদ্ভুত এক রহস্যময়তা বিরাজ করে। কারণ ওই একটাই গ্রামের মানুষদের মধ্যে রয়েছে আত্মহত্যা করার চরম প্রবণতা। প্রায় ১৫ দিন পরপর না হলেও একমাসের মধ্যে তো অন্তত একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটবেই এই আলিসারকুলে। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে? এজন্য দেশি ও বিদেশি দুটো এনজিও কাজ করছে। আলিসারকুল গ্রামটি সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। উপজেলা সদর দফতর থেকে ২৮ কিলোমিটার এবং মৌলভীবাজার জেলা সদর দফতরের ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গ্রামের মোট ভৌগোলিক এলাকা ৫৭৩.৫ হেক্টর। ২০০৯ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামটিতে ১,৫২২টি পরিবার বাস করত, আর তখন জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২,৬৪৪ জন। বর্তমানে গ্রামটিতে ৩২০টি পরিবারের বাস এবং মোট লোকসংখ্যার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২,৫০০।
আত্মহত্যাকারী গ্রাম হিসেবে এর একটা বদনাম আছে। গত বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, ১১০ দিনে প্রায় ১২০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে এই গ্রামে। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় আত্মহত্যার ঘটনা খুব একটা শোনা যায়নি। কিন্তু গ্রামবাসীদের এক অন্ধ ধারণা হচ্ছে কোনো দুষ্ট আত্মাই এর জন্য দায়ী। সেই দুষ্ট আত্মাই নাকি একের পর এক গ্রামবাসীকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করছে। চলতি বছরের গত জুন পর্যন্ত ১৯টির মতো আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমন তথ্য দিয়েছে দেশি এনজিও ‘মানুষের পাশে আমরা’ (মাপাআ)। মাপাআ’র কো-অডিনেটর সুশান্ত ভৌমিক বিষণ্ণতার কারণ হিসেবে মারাত্মক পরিমাণে কীটনাশক দেওয়া ছাড়াও কৃষকদের মধ্যকার আর্থিক দৈন্যতার কথা বলেন। দেখা যায় চাষাবাদের জন্য বা মেয়ের বিয়ের জন্য লোন করেছেন, কিন্তু সময়মতো সে অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তাদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে এবং পরবর্তীতে যা বিষণ্ণতায় রূপ নেয়।
উদাহরণ হিসেবে তিনি চীনের কথা উল্লেখ বলেন, একসময় চীনের একটি গ্রামেও এধরনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। পরে বিভিন্ন গবেষণার মধ্য দিয়ে জানা যায়, একটি বিষাক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে যেটি বিষণ্ণতার কারণ। চীনের বড় একটি গ্রাম যার নাম—‘ঝেঝাং’, সেটি দুভাগে বিভক্ত ছিল ‘সিয়ান’ নদীর কারণে। যাতায়াতে ঝামেলা ছিল। ফলে ঝেঝাং গ্রামে সরকার-সরবরাহকৃত ভালো মানের কীটনাশক পৌঁছাতে দেরি হতো বলে ঝেঝাংবাসীরা নিম্নমানের কীটনাশক ‘খিটাসান’ বানাত এবং এটি ব্যবহারে ফসলের ফলন ভালো হলেও এরমধ্যে থাকা একধরণের সীসা বাতাসে মিশে থাকত যেটি মানবমনের ওপর বিষণ্ণতার ছাপ ফেলত। পরে এ থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেতে একটা সেতু নির্মাণ করা হয় এবং সেই সেতু নির্মাণের আগে কাজ শুরুর দিন সাতজন মানুষের কাটামুণ্ডু দেওয়ার কথা চালু থাকলেও সেটি সত্য নয় বলে জানান সুশান্ত ভৌমিক।
দুই.
আলতাবানু জানেন না কতক্ষণ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ব্যাঙের কান্না শুনছিলেন! তবে এটুকু মনে আছে তিনি বারান্দার মেঝেতে পড়ে যাওয়ার সময় পাশের কেবিনের রোগীর দুজন স্বজন তাকে ধরেন। পরদিন সকালে ঘুম ভাঙে বেশ দেরিতে। ততক্ষণে দেখেন তার কেবিনের সামনে বেশ ভিড়। বাইরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এক ডাক্তার তার পালস, রক্তচাপ এসব মাপার পর এক সাংবাদিক ঢোকেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। তাকে ঘিরে বেশ কিছু মানুষ পেছনে। সাংবাদিক আলতাবানুকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার স্বামী বশিরের খবর জানেন তো?’ আলতাবানু কী ভাবেন সেটি আমাদের জানার কথা নয়। আমরা শুধু এখন পর্যন্ত জানি যে তিনি গতরাতে পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য মেঝেতে বসে টিভি অন করেছিলেন। আলতাবানু বলেন, ‘অয়, জানি। কাইল রাইত আমার জামাই ধুসাইলাতে(গণপিটুনি) মরছইন আলিসারকুলের ইউনিয়ন অফিসোর রাস্তাত।’ সাংবাদিক জানতে চান, ‘তার ব্যাগে একটা শিশুর গলা কাটা লাশ পাওয়া গেছে। শিশুটি ওই গ্রামের নেজামত মাস্টারের সাত বছরের নাতির। নেজামত মাস্টারের সাথে কি আপনার স্বামীর বিরোধ ছিল?’ ডাক্তার এগিয়ে এসে তখন বলেন, ‘রোগিনী অসুস্থ।’ সাংবাদিক কী ভাবেন কে জানে এরপর আর কোনো প্রশ্ন না করে বেরিয়ে যান কেবিন থেকে। এর একটু পরই পুলিশ আসে একদল। দুপুরে নার্স খাবার দেওয়ার আগে। আলতাবানু তখন গোসল করছিলেন। বেরুতেই নার্স বলেন, ‘ভয় পাইহৈন না। পুলিশ আইছে। আগে খাবার খাইলান। মরল জামাই আফনার, দিগদারিও শুরু হৈল আফনার।’
আলতাবানু কারো সাথে কিছু না বলে খাবার খেলেন। ওষুধ খেলেন। ঘুমিয়ে পড়লেন। ‘ইলাকান অয় না আলতা, ইলাকান মরাত গেছলায় কেরলাগি’—কেউ যেন ফিসফিসিয়ে আলতাবানুর কানে বলে। আলিসারকুলের ধলামন্দিরের পুবদিকে নিকুঞ্জ গ্রামের সীমানা ঘেঁষে যে রাণীদিঘি, সেই দিঘির সিঁড়ির ওপরই তো পড়ে ছিল আলতাবানু সেই বিকালে। আশ্বিনের শেষ বিকাল। ‘ওরাসন’ নামের কীটনাশক খেয়েছিল। ওরাসন ধানের ক্ষেতে দেওয়া হয় যাতে কীটপতঙ্গের উৎপাত না হয়। বাপজান কিনে রেখেছিল। লাল গুড়ের মতন। খেতে তিতা। বুক জ্বলছিল ঢোক গেলার পর। তখন আলতাবানু সিঁড়ির ওপর পড়ে গিয়েছিল। তার তখন বড় সাধ ছিল দিঘির পানিতে পড়ে মরবে। মরার পর তার লাশ ভেসে থাকবে। সবাই তার লাশ দেখার জন্য ভিড় করবে দিঘির পাড় ঘেঁষে। কিন্তু দিঘির পানিতে সেদিন ঠাঁই পায়নি আলতাবানু। ঠাঁই পেয়েছিল নকুলের কোলে। নকুল দ্বিজদাস। কীর্তন করে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে বেড়ায়। শীতকালে দুর্গাপুজার সময় বিভিন্ন এলাকায় যাত্রাপালা শুরু হলে যাত্রাদলে ‘বিবেক’-এর ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে গ্রামছাড়া হয়। নকুলের সত্যিকার অর্থেই কেউ নেই। ধলামন্দিরে ঘুমায়।
বাবা-মা দুজনই একরাতে নিরুদ্দেশ হন যখন নকুলের বয়স মাত্র বছর আটেক। নকুলের বাবা-মায়ের নিরুদ্দেশের কারণ গ্রামবাসীর অজানা। এরপর কিছুদিন সতীশ মণ্ডলের বাড়িতে থাকে। সেখান থেকে কোনো অজানা কারণে তার ঠাঁই হয় ধলা মন্দিরে। সেই প্রথম আলতাবানু নকুলকে দেখে। কত নাম শুনেছে তার। সীতার বনবাস, গলি থেকে রাজপথ, আনারকলি, বাঁদী থেকে বেগম—নামের কত কত যাত্রাপালায় সে অভিনয় করে বেড়ায় এ গ্রাম থেকে সে গ্রামে। কত নামডাক তার। সেই নকুলদার কোলে তার মাথা! নকুল তার হাতের দুটো আঙুল কায়দা করে কিঞ্চিত আলতার মুখে ঢুকিয়ে বমি করায়। দিঘির পানি নিয়ে চোখে মুখে কপালে ঝাপটা দেয় সেই বেঁচে ওঠে আলতাবানু, দিঘির পাড় বেয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে যেন চারিদিকে সুনশান নীরবতা। সেই প্রেম শুরু হয় নকুলের সাথে আলতাবানুর। খুব ভোরে মন্দিরের জন্যে নকুল ফুলের সন্ধানে গেলে আলতাবানু ফজরের নামাজ পড়ে অপেক্ষায় থাকত জানালা ফাঁক করে, কখন নকুল এসে দাঁড়াবে। শুরুটা এভাবে। শেষও তো থাকে। নকুল মনে হয় এভাবে শেষ হবে জানত না। শেষ হলো এক শুক্কুরবার। নেজামত মাস্টারের উঠান বাড়িতে। মৌলভী ডেকে নকুলকে মুসলমান বানানো হলো। কলেমা পড়ল। নতুন নাম হলো বশির। এরপর বিয়ে হলো আলতাবানুর সাথে। তখন আলতাবানু শ্রীমঙ্গলে একটি প্রাইমারি স্কুলে পড়ায়। নকুল অষ্টম শ্রেণী-পাস বেকার। এরপর থেকে তাদের বসবাস শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডে থানা সংলগ্ন ভাড়া বাড়িতেই। এসব পুরনো কথা মনে পড়ে না কখনোই আলতাবানুর। স্বপ্নেও না। কিন্তু বশির খুন করতে পারে নেয়ামত মাস্টারের নাতিকে এটি ভাবতেও পারছেন না। ঘুম অনেক আগেই ভেঙেছিল। কিন্তু নিরুপায় মানুষের জীবনে এ সময়টাও মূল্যবান যে সে যখন চোখ বুজে অনেক কিছু তার স্মৃতিপটে ভাসায়। এই স্মৃতিপটে নিরুপায় মানুষ ঘটনাসমূহ ভাসিয়ে থাকে দুটো কারণে হয়তো-বা। যখন তার করার কিছু থাকে না। যখন সে আশপাশ থেকে পালাতে চায়।
তিন.
নির্বিরোধী মানুষের বিপদ কম হয় সেটিই সবাই জানেন। কিন্তু আমরা যারা আলিসারকুল গ্রামের ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছিলাম, তারা অনেক অনেক কাল পর জানতে পারি বশির ‘ধুসাইলা’তে (গণপিটুনি) মারা গিয়েছিলেন। তার কাছে একটা বড়ো চটের ব্যাগে যদিও নেজামত মাস্টারের নাতির গলা কাটা মুণ্ডু পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু এর রহস্য আমরা আজও জানি না। কারণ বশির নির্বিরোধী মানুষ ছিলেন এবং তিনি মারা যাওয়ায় তাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে শিশুর গলা কাটা মুণ্ডুর বিষয়ে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তখন আমরা ভাবি, শিশুটিকে কে খুন করতে পারে! কেউ কেউ ভাবি নিছক নেজামত মাস্টারের কোনো শক্রপক্ষের কাজ এটি। এটি করে কোনো চটের ব্যাগে কাটা মুণ্ডু ঢুকিয়ে দিয়ে নির্বিরোধী বশিরকে ‘ছেলেধরা-ছেলেধরা’ বলে মারতে থাকলে আরো জনতা এসে যোগ দেয় এবং তারাও মারতে শুরু করে বশিরকে, হয়তো সে সুযোগে নেজামত মাস্টারের প্রকৃত খুনী ও সহযোগীরা পালিয়ে যায়। কেউ কেউ ভাবেন, পদ্মাসেতু হচ্ছে। একলাখ শিশুর গলাকাটা মুণ্ডু লাগবে। সে কারণে বশির এমন করতে পারে। যদিও সরকার পক্ষ বারবার বলেছে এসব নিছক গুজব। আবার অনেকের ধারণা, নকুল ‘বশির’ হলেও নওমুসলিম হিসেবে তাকে ওই গ্রামের অনেক ধর্মান্ধ মানুষই সুযোগ খুঁজছিল শায়েস্তা করার। কিন্তু এ যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না, কারণ অল্প শায়েস্তা করার জন্য গলা কাটা মুণ্ডু লাগবে কেন? মাপাআ’র কো-অডিনেটর সুশান্ত ভৌমিক কথাপ্রসঙ্গে আমাদের বলেন, ‘ধুসাইলা একটি মাস-সুইসাইডাল সাইকোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার। আলিসারকুলের মানুষকে কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি পলিটিক্যালি কনসাসও হতে হবে। নাহলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।’
সন্ধ্যা নামে। আমরা মাঝে মাঝে আলিসারকুলের ইউনিয়ন অফিসের সড়কের নিমগাছটার নিচে যেখানে ক্যারাম খেলা হয় সেখানে যাই, রাস্তার ধারের শালগাছগুলির বড় বড় পাতা হাতির কানের মতো দোলে। বিধবা সুন্দরীর মায়ের চা দোকানের কাঠের বেঞ্চিতে বসি, চা খেতে গেলে মুতের গন্ধ। কিরে মাইনকা, মুতের গন্ধ কেরলাগি? কোনো জবাব নাই, দেখি নিমগাছের একটু দূরে পাকুড়গাছের নিচে বস্তা বিছিয়ে আলতাবানু বসে থাকে। বসে থাকে নাকি আমরাই গল্প বানাই কে জানে? আলতাবানু বসে বসে মুতে। বস্তা ভিজে। নিউজপেপার ভিজে। সে মুত বহে আসে আমাদের দিকে। আমরা যাতে না ভাসি সেই ভয়ে আলগা আলগা থাকি।