কলকাতার কবি কাজল চক্রবর্তী ইউরোপ থেকে ফেরার পথে বাংলা ভাষার টানে দিল্লির বদলে ঢাকা উড়ে এলেন। ট্রানজিটে একদিন থেকে বন্ধুদের সঙ্গে তুমুল সাহিত্য আড্ডায় মেতে আজ সন্ধ্যায় ফিরে যাচ্ছেন কলকাতা। বললেন, ‘ইতালি থেকে ফেরার পথে কলকাতার টিকেট মেলানো যাচ্ছিলো না। দিল্লি বা ঢাকা হয়ে টিকেট মিললে ঢাকা হয়ে ফেরাকে বেছে নিলাম। এর নেপথ্যে বাংলা ভাষার টান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) উত্তরার এক হোটেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার সময় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে প্রদত্ত সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে কাজল চক্রবর্তী বললেন, আমার পূর্বপুরুষের ভিটে বাংলাদেশে। তাই ওই বাংলা থেকে এই বাংলাতেই ফিরে ফিরে আসি। আমাদের দেশ ভিন্ন। কিন্তু স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ, ভাষা সব এক। তিনি বলেন, মাঝখানে যদিও কাঁটাতার। কিছুটা ইচ্ছেয়, বেশিটা অনিচ্ছেয়। এই অনিচ্ছে বা আরোপিত ভেদাভেদকে মান্যতা না দিয়ে যারা বাংলাভাষার চর্চা করে চলেছে তাঁরা মননের জগতে অভিন্ন। ভূগোল ভাগ হয়, ভাষাকে ভাগ করা যায় না। কাঁটাতারের বেড়ার ভেদাভেদ অভিন্ন ভাষার কাছে মান্যতা পায় না। এ নিয়েই আমাদের দু’দেশের বাঙালির সম্পর্ক ও যাতায়াত ’।
কাজল মাসখানেক আগে নিজ শহর কলকাতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ইউরোপের ফ্রান্স, সুইজরাল্যান্ড, ইতালি হয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। ফেরার পথে বাংলা ভাষার শহর ঢাকাকে আরেকবার ছুঁয়ে গেলেন।
কলকাতানিবাসী কাজল চক্রবর্তী বাংলাভাষার আশির দশকের পরিচিত কবি। ১৯৮২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছরই এক বা একাধিক কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে তাঁর। প্রথম বই ‘ঠিক শেই শময়’ প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। ত্রিশটির বেশি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও তিনটি ছোটগল্প, ছয়টি উপন্যাস, কাব্যনাটকসহ ৬৪টি সম্পাদিত গ্রন্থের জনক তিনি।
লেখালেখির স্বীকৃতি হিসাবে কাজল বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছেন।