অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ ঐতিহ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাংবাদিক ও ভ্রমণ লেখক জাকারিয়া মন্ডলের তৃতীয় বই ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’। সম্পূর্ণ চাররঙা ভ্রমণগ্রন্থটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী ধ্রুব এষ। নদী ও নদীপাড়ের জনপদে সরেজমিনের অভিজ্ঞতা বইটির মূল উপজীব্য।
বইটি সম্পর্কে জাকারিয়া মন্ডল বলেন, “নদী থেকে নদীতে ঘুরতে ঘুরতে ভেসে চলা। পাড়ে নেমে দেখে নেওয়া প্রাচীন স্থাপনা, হাট-বাজার, জনপদ, জীবনের বৈচিত্র। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে একই স্থানে ফিরে ফিরে এসেছি। মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতায় সভ্যতা-সংস্কৃতি, সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কিংবদন্তি, পুরাণ-উপপূরাণের আখ্যান যোগ করেছি বইটিতে।”
লেখক জানান, এ গ্রন্থে উল্লিখিত সব নদীই মেঘনার সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনোটি সরাসরি, কোনোটি অন্য নদীর সঙ্গে মিশে মেঘনায় মিশেছে। কোনোটি আবার মেঘনা থেকেই জন্ম নিয়ে জীবন পেয়েছে। সব যেন মেঘনারই অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ, পরিবার।
জাকরিয়া মন্ডলের প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’। দ্বিতীয়টির নাম ‘বাড়ির পাশে তীর’। ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’ নামে তৃতীয় গ্রন্থে ১৪টি গল্পে ডজন দুই নদীর ইতিবৃত্ত বর্ণিত হয়েছে। এগুলো হলো—বালু, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ধনু, ঘোড়াউত্রা, যাদুকাটা, খোয়াই, সারি-গোয়াইন (লালা খাল), লোভাছড়া, সুরমা, কালনী, মেঘনা, কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, বিষখালী, ধানসিঁড়ি, গাবখান চ্যানেল, সন্ধ্যা, কচা ইত্যাদি।
অনিক খান, অপু দেবনাথ, আবু বকর, খন্দকার হাসিবুজ্জামান, টিটু দাস ও রিয়াসাদ সানভীর সঙ্গে জাকারিয়া মন্ডলের নিজের তোলা আলোকচিত্র বইটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে। অনেক দুর্লভ রেফারেন্সে বইটিকে সমৃদ্ধ করেছেন লেখক।
জাকারিয়া মন্ডলের জন্ম দিনাজপুরের বিরামপুরে। ঢাকায় নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে স্নাতোকোত্তর। নিউজ মিডিয়া, গবেষণা ও তথ্যচিত্র তাঁর কর্মক্ষেত্র। পেশাগত দায়িত্ব ছাড়াও প্রায়ই পরিব্রাজক বেশে পথে নামেন। চষে বেড়ান দেশ, বিদেশ।