বই মেলা প্রাঙ্গন থেকে: ‘বসন্ত এসে গেছে’। তবে আজ নয় কাল। নতুন সংশোধিত বর্ষপঞ্জিতে পহেলা ফাল্গুন ১৩ নয়, ১৪ ফেব্রুয়ারিতে। তবুও বসন্তের ছোঁয়া লেগেছিলো একুশের বইমেলায়ও। লেখক-পাঠকের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ ছিলো প্রাণবন্ত।
বাঙলা পঞ্জিকা সংশোধনের খবরটি অনেকেই জানেন না। দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি ১৩ ফেব্রুয়ারিকে যারা পহেলা ফাল্গুন হিসেবে উদযাপন করে আসছেন, তাদের অনেকেই বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সকাল বের হয়েছেন বাসন্তী সাজে। বিকেল তিনটে থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে বাড়তে থাকে লোক সমাগম। সময়ের সাথে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের পদচারণায় এক অন্য রুপ নেয় বই মেলা।
মেলায় অনেক তরুণীই আসেন মাথায় ফুলের মুকুট, হাত ভর্তি ফুলের মালা আর বাসন্তী কিংবা হলুদ শাড়ি পরে। ছেলেরা হলুদ পাঞ্জাবি পরে মেলা প্রাঙ্গণে আসেন। আগতদের অনেকেই বই কিনেছেন। অনেকে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফের জন্য। অটোগ্রাফ শেষে সেলফিও তুলেছেন অনেকে।
তিন বান্ধবী মিলে বই মেলায় এসেছেন প্রিয় লেখকের বই কিনতে। তিনজনই নারায়ণগঞ্জের তুলারাম কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। কথা হলো তাদের সঙ্গে। আলাপকালে তারা বলেন, আজকে ভেবেছিলাম বসন্ত। তাই তিন বান্ধবী মেলায় এসেছি। প্রথমে কিছুটা মন খারাপ হয়েছিলো কিন্তু প্রিয় লেখককে সামনাসামনি দেখে এবং তার কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
কথা হলো বেসরকারি চাকরিজীবী শরিফ আহমেদের সঙ্গে। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, বাঙলা পঞ্জিকা সংশোধনের খবরটা আমি জানতাম না। পহেলা ফাল্গুন ভেবে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছি। মেলায় অনেক ভিড় তাই খারাপ লাগছে না। সময়টা ভালোই কাটছে।
বসন্তের আগমনের ছোঁয়া লেগেছে ছোট-বড় স্টলগুলোতেও। স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১১ দিনের চেয়ে আজ বিক্রি ছিলো সবচেয়ে বেশি।
সুলেখা প্রকাশনী ও লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম সোহাগ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকের দিনটাকে অনেকেই পহেলা ফাল্গুন ভেবে মেলায় এসেছেন। আর তাই ছুটির দিন না হলেও মেলায় বেশ ভিড় ছিলো। বিক্রিও ভালো হয়েছে। আমরা খুশি।