বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থ মেলা শেষ হতে বাকি আর মাত্র চারদিন। প্রাণের বইমেলার শেষের প্রহরে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে ছিল বইপ্রেমীদের আনাগোনা। সকাল থেকেই আকাশ বার্তা দিচ্ছিলো বৃষ্টি নামতে পারে। বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইমেলায় বাড়তে থাকে জনসমাগম। মেলায় জনসমাগম থাকলেও বিক্রির হার সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেন স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের মধ্যে নেই কোনো ব্যস্ততা।
তারা জানান, যে হারে আসছে সে হারে বই বিক্রি হচ্ছে না। শুক্র ও শনিবারের হিসেব বাদ দিলে বই বিক্রি লক্ষ্য মাত্রার ধারে কাছে নেই।
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে পুথিনিলয় প্রকাশনী ও স্টলের হিসেব রক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, সবদিক বিবেচনায় এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা যদি পঞ্চাশ লাখ টাকা হয় তাহলে বিক্রি হয়েছে দশ লাখ টাকা। বই যে বিক্রি হচ্ছে না, তা না। বই বিক্রি হচ্ছে, তবে পাঠক ও জনসমাগমের তুলনায় সেটা আসলে সন্তোষজনক না।
বিকেল সাড়ে চারটায় কথা হয় ছোট প্রকাশনা স্টল সুলেখা লাইব্রেরির সত্ত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম সোহাগের সাথে। তিনি জানান, স্টল খোলার দেড় ঘণ্টা অতিবাহিত হতে চললো একটা বইও এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারলাম না। নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনা ও পরিবেশক বাদ দিলে সব ছোট ছোট স্টলগুলোর একই হাল। শুক্র-শনি বা সাধারণ দিন যেটাই হোক প্রায় সব দিনই একই অবস্থা।
এদিকে আশার বাণী শুনিয়ে বাংলাপ্রকাশের প্রধান বিক্রয় প্রতিনিধি ইমরান হোসেন বলেন, আমাদের স্টলে বই বিক্রি হচ্ছে। শুক্র ও শনিবারের বিক্রির হিসেব আলাদা করলেও আমাদের স্টলে বিক্রি ভালো। তবে নির্দিষ্ট দুইটি বই বেশি বিক্রি হলেও অন্যান্যগুলো তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
মেলায় আসা শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া আরাফাত জানান, মেলা প্রায় শেষের দিকে তাই নিজের পছন্দের বইগুলো একে একে সংগ্রহ করছি আজ দুইটি বই কিনেছি। মেলা শেষ হবার আগে বাকিগুলো কিনে ফেলবো।
বিকেল তিনটায় মেলা খোলার পর থেকেই জনসমাগম বাড়তে থাকে। বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের পদচারণায় মুখর মেলার দুই প্রাঙ্গণ।