সুদূরতার ঠিকানা জানি না; কিন্তু শহরে ট্রেন আসে

কবিতা, শিল্প-সাহিত্য

গ্যাব্রিয়েল সুমন | 2023-08-31 11:59:16

শালিখ চেনার গল্প

জুয়ার আসরে বসে তিনি একটি দূরের গ্রামে আটকে পড়া জাহাজের ‘শালিখের গল্প’ বলেছিলেন। আমার পিতামহ মেলায় বসে সেই গল্প শুনেছিলেন। তারপর তিনি একদিন জাহাজটিকে খুঁজে পেলেন এক প্রাচীন উদ্যানে। তারপর মেঘ করা কোনো এক দিনে ‘আমি’ সেই দূরের গ্রামে জন্ম নিলাম।

তার আগে আমার হয়ে ‘অন্য কেউ’ এইখানে শালিখ উড়াত।

সুদুরতার ঠিকানা

সুদূরতা তোমার ভ্রমণ কাহিনী (শুনি)—অনেক পৃষ্ঠা হয়ে যাচ্ছে, আর নাচাচ্ছে—কিছু বেড়াল। যারা নেই দৃশ্যে, অথচ—আসমুদ্রে জলরঙ মাছ খুঁটে খাচ্ছে...

সুদূরতার ঠিকানা জানি না; কিন্তু শহরে ট্রেন আসে;—ট্রেন যায়। তারা নিশ্চয়ই সুদরতার ঠিকানা জানে। সুতরাং আমি ট্রেনে চেপে বসি এবং ‘জগতি’ স্টেশনে পৌঁছে যাই। কথিত আছে—জগতি স্টেশনে সুদূরতা আছে।

সুদূরতা ও সাদা পাখির ডানা

‘সুদুরতা’ বলেছে তুমি এই শহরের মেয়র,—ছাদে চেয়ার পেতে বসে থাকো।

আমি ছাদে চেয়ার পেতে বসে থাকি,—কয়লা দিয়ে শহরের ল্যম্পপোস্টগুলি আঁকি।

এইভাবে ‘দিন’ ম্রিয়মাণ হয়ে আসে... সুদূরতা বাহির, সুদূরতা অনেক গল্প; সেখানে অনেক অনেক মেঘ ছড়ানো থাকে। বিবিধ পাখি বিবিধ আকাশ থেকে উড়ে এসে ‘সুদুরতা’ তৈরি করে...
দৃশ্যের দিকে গিয়ে দেখি—আমি তার ‘সুর’ চুরি করে ফেলেছি।
আর আমি কেবলই—‘ভ্রমণ’ লিখে যাচ্ছি।

ব্যাবিলনে

শহরে আজও ধোঁয়াশা আর কুয়াশার ভিতর ছুটে যায় উদাসীন ট্রাম। তার কমলা হলুদ বাতি—আর আমার পাখিজীবন;—একসাথে অনুবাদ করি দুর্বোধ্য অক্ষরের নিয়ন সাইন।

আমিও ঘুমালাম সারাদিন, সারাবেলা... অজস্র শালিখ নিজের শহরে ফিরে গেল। আমি গেলাম না...

পিথাগোরাসের অপ্রচলিত উপপাদ্য

চাঁদের বাগানে প্রেমের কবিতা বিছিয়ে দিলাম—আমি আর সবুজ জোনাকি।
বাতাসের ঝাপ্টা চলে গেলে দেখি; অলিভ কুড়োচ্ছে—আমার মেয়েরা।
এই সেই বিন্দু,—এরপর দূরত্ব বাড়বে অনন্তের দিকে;—অথবা দূরত্ব বলে আর কিছু থাকবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর