শিক্ষা ও চাকরি ক্যাটাগরিতে সফল নারী হিসেবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুলতানা আক্তার। 'রোকেয়া দিবস ও জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ' শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার এ সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুলতানা আক্তারের হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে উপজেলা পর্যায়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননাও পান সুলতানা আক্তার।
শ্রেষ্ট জয়িতা সম্মাননা পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সুলতানা আক্তার বলেন, একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতির রূপকার। তাই উচ্চশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নারীকে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে নারীদের সহযোগিতার জন্য পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। সমাজের পিছিয়ে থাকা নারীদের জন্য আমি আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে যাব। একটি উচ্চশিক্ষিত মানবিক সমাজ গঠনের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।
সুলতানা আক্তার ১৯৮৬ সালের ১৫ এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ছোট শাকরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষে জাবির ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৮ সালে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) এবং ২০০৯ সালে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। পরে ২০১১ সালে জাবির ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এছাড়া ২০১৯ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
সুলতানা আক্তার বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমি ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের জীবন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজ সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন।