শিক্ষকদের মানের প্রশ্নে আপস করার সুযোগ নেই: ড. সৌমিত্র শেখর

, ক্যাম্পাস

জাককানইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-22 17:44:28

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানের প্রশ্নে আপস করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ল্যাবকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করা শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্মশালাটি আয়োজন করে।

কর্মশালায় উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হওয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এজন্য স্মার্ট-শিক্ষক, স্মার্ট-কর্মকর্তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষকদের মানের প্রশ্ন নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্য নিয়েই প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।

নতুন শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'তোমাদের প্রথম কাজ হবে লেখাপড়া করা। জার্নাল বের করা। এইসব জায়গায় যদি কোনো কমতি থাকে, তাহলে আমরা প্রশাসনিক কাজগুলোতে কাউকে যুক্ত করতে পারবো না। তখন কিন্তু কোনো অনুরোধ কাজে দেবে না। তাই, এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি তোমাদের নিতে হবে'।

অতীত থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ধর্মের একটা বড় সম্পর্ক ছিল মন্তব্য করে প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, প্রতিটা বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতীক ছিল। অক্সফোর্ডের সঙ্গেও কিন্তু ধর্মের সম্পর্ক ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার সঙ্গে সেখানে ধর্মতত্ত্ব, সহিত্যতত্ত্ব, প্রকৃতিতত্ত্ব সব শেখানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধর্মের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে ঠিকই, কিন্তু ধর্মের মধ্যে বিশ্বাসটা যেহেতু মুখ্য, তাই পরবর্তীতে এই বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মৌলিক তফাৎ আছে। স্কুল ও কলেজে পঠিত বিদ্যা পড়ানো হয়। সেখানে বইতে যা আছে, সেটা শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। বই তার একমাত্র টেক্সট। এজন্য বলা হয়- 'টেক্সট বুক'। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো টেক্সট বুক থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়- রেফারেন্স বুক। রেফারেন্স বুকও আবার সুর্নিদিষ্ট নয় বরং অসীম!

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে সৌমিত্র শেখর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মূলত জ্ঞানকে প্রশ্ন করতে চায়। প্রশ্ন করা শেখায়। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়। তাই, একজন শিক্ষক হিসেবে মূল দায়িত্ব হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন করার বোধটুকু জাগাতে হবে। শিক্ষক হিসেবে যে কারো একটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জ আছে। সেটি হলো, এখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত মূল্যায়ন করবেন। কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের কাছে একঘেঁয়েমি হয়ে যায়, তাহলে বাইরে তার ভাবমূর্তির সংকট হতে পারে'।

আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সাহাবউদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।

রিসোর্স পার্সন (বিষয় বিশেষজ্ঞ) হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকুমার সাহা ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত-পরিচালক প্রফেসর ড. তুষার কান্তি সাহা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর