দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর অন্যতম কারণ ৫৪ শতাংশ কোটা। ফলে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে কোটা আন্দলোনের পঞ্চম দিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কৃষকের বেশে দেখা গেছে তিনজন শিক্ষার্থীকে। তারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
কৃষকের বেশে আসা শিক্ষার্থীরা হাতে বহন করছিলেন একটি প্লাকার্ড। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘চল, চল, চল- পড়াশোনা বাদ দেই, মাঠে গিয়ে চাষ দেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাদমান বলেন, ‘আমাদের বাবা-মা মধ্যবিত্ত৷ চাষার সন্তান। আমরা দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। পড়াশোনা শেষে সরকারি চাকরির সঠিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় হচ্ছে। সরকার আমাদের মেধার মূল্যায়ন করতে পারছে না।
তাই চাকরির পরীক্ষায় কোটা আর প্রশ্ন ফাঁসের মতো নানা অনিয়মের কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষের আদি পেশায় ফেরত যাওয়া ছাড়া কোনো পথ দেখছি না।
এ সময় তার সঙ্গে কৃষকের বেশে ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম এবং জাপানিজ ভাষা অনুষদের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম। তাদের এক হাতে কোটা সংস্কার ও কৃষি কাজে যাওয়ার প্লেকার্ড। অপর হাতে বই। লুঙ্গি, গেঞ্জি আর গামছায় সেঁজে ছিলেন নবীন কৃষক।