গোলাম রাব্বানীসহ ডাকসুতে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত আট নেতার অবৈধ ভর্তি বাতিল ও তাদের পদ থেকে অপসারণ চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুতে জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো রাশেদ খানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত খাইয়ুম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসু সভাপতি বরাবর এ আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে বৈধ ছাত্র না হয়েও গোলাম রাব্বানী জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ছাত্রত্ব দেখিয়েছেন। আর বৈধ ছাত্র হিসেবে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ছাত্র হয়েও যারা বৈধ ছাত্র দেখিয়ে জয়ী হয়েছে তাদের সকলের পদ বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে নোটিশে।
নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইন গত পদক্ষেপ হিসেবে রিট করা হবে হাইকোর্টে।
অভিযুক্ত আট নেতা হলেন, জিএস গোলাম রাব্বানী, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, ডাকসু সদস্য নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, রকিবুল হাসান রাকিব, নিফু ইসলাম তম্বী,স্যার এফ রহমান হলের সহ সভাপতি আব্দুল হালিম খান।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ডাকসু নির্বাচনের সময় গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বৈধ ছাত্র ছিলেন না। জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি ছাত্রত্ব দেখিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যেহেতু বৈধ ছাত্র ছিলেন না সেহেতু তার ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা অবৈধ।
এতে আরো বলা হয়, ঢাবি ভিসি এ বিষয়ে নির্লিপ্ত ভূমিকায় আছেন। যা দুর্ভাগ্যজনক। ডাকসু সাধারণ সম্পাদক বৈধ ছাত্র নন এটা প্রকাশের পর ভিসি কোনো তদন্ত বা পদক্ষেপ নেননি। বরং নিরব থেকে দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্দোলন ও নেতৃত্ব তৈরির সুতিকাগার ঢাবির মতো প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও প্রশাসনের প্রধান নির্বাহী ভিসির কাছ থেকে এ ধরনের নিরবতা হতাশাজনক।
এ বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, নোটিশ পাওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ভর্তি বাতিল ও জিএস পদ থেকে গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করা না হলে একজন ভিকটিম হিসেবে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করব আমি।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ১১ মার্চ দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অবৈধ পন্থায় ছাত্রত্ব গ্রহণ করেছেন বলে ৩৪ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত ৩৪ জনের মধ্যে বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৮ জন।