ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ হওয়ার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েটে) মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাবি ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও রুয়েট ক্যাম্পাসে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে রাবির প্রধান ফটকের সামনে ‘সন্ত্রাস ও নিপীড়ন বিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আলম, সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, রাবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহাব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আলম বলেন, ‘স্বাধীন দেশের ৫০ বছরপূর্তির সময় যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ধর্ষিত হয়। তখন আমাকে ভাবতে হয়- একজন কৃষকের মেয়ের কী অবস্থা? শ্রমিকের মেয়ের কী অবস্থা হতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ এখানে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে দাঁড়াইনি, দাঁড়িয়েছি কেননা আমারও চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার একটি মেয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে, সে কতটুকু নিরাপদ? রাস্তায় নিরাপদ নয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়; এমনকি নিজ গ্রামেও নিরাপদ নয়। তাহলে তারা কোথায় যাবে?’
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকল ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মানববন্ধনে ‘অন্যের বোনের ধর্ষণে কাঁদে না তোর মন, কেমন হবে যেদিন দেখবি ধর্ষিত তোর বোন’ সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর।
এদিকে, ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ধর্ষককে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রহমান নিবিড়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।