১০ ডিসেম্বর, ঠিক মধ্য দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৪১তম পাপড়ি স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রস্ফুটিত হল দেশের সক্ষমতার ‘পদ্মফুল’। আমাদের স্বপ্নের বর্ণিল দিগন্ত ‘পদ্মা সেতু’।
দুর্নীতির অপবাদ ঘুচিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর নদীজনিত বিচ্ছিন্নতা জয় করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সরকারের সাফল্যের মুকুটে যোগ করলেন আরও একটি হিরন্ময় পালক। তিনি প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি।
স্বপ্ন’কে দৃশ্যমান করতে যিনি গাঢ় কুয়াশায় কখনও প্রখর রৌদ্রে, কখনও তীব্র শীতে কিংবা ঘন বরিষায় ১৬৯ বার সাইট ভিজিট করেছেন, করেছেন নিবিড় তদারকি, তিনি মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। মাননীয় মন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, কমিটমেন্ট সুদৃঢ় হলে যে কোন দুর্গম পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব।
পদ্মার দুই তীরের অসংখ্য মানুষ, যারা নিজের শেষ আশ্রয়, বাড়ি-ঘর, ফসলি জমি দিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছেন, তাদের দুই চোখেও আজ আনন্দাশ্রু।
অনিশ্চয়তার দোলাচল মাড়িয়ে পলিবিধৌত বাংলার বুকের জমিনে তৈরি হচ্ছে সুপারস্ট্রাকচার। দুর্নীতির অপবাদ ঘুচিয়ে প্রমত্তা পদ্মার জলরাশির ওপর একের পর এক বসল সক্ষমতার ইস্পাত কঠিন সংযোগ। দুই তীরের জনজীবন জুড়ে দেয়ার এক সময়ের অসম্ভব ভাবনা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে দৃশ্যমান বাস্তবতা। মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর নিবিড় তত্বাবধানে প্রতিকূলতার বিন্ধ্যাচল পেরিয়ে প্রায় শেষপ্রান্তে আমাদের স্বপ্নের সেতুবন্ধ।
সহসাই দুই তটের জনমানুষের স্বপ্নের সংযোগ ঘটাতে গাঁথা শেষ হলো ‘বিনাসূতী মালা’। তারই পথ ধরে এখন উন্মোচিত হবে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির নবদিগন্ত। সংযোগ আর পারাপারের ঘাটে বাঁধা তরী নিবে অবসর। নিমন্ত্রণের অপেক্ষায় পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ‘দুইটি তটের হিয়া’।
লেখক: মো. আবু নাছের, উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বিজয়ের মাসে আরেক বিজয়
পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান বসানোর কর্মযজ্ঞ চলছে
পদ্মা সেতুর ৪১টি স্প্যানের আদ্যোপান্ত