সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতন ঘটেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় পতন ঘটলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) লেনদেনের শুরুতেই সূচকের পতন ঘটে ডিএসইতে। মাঝে কিছু সময় সূচক স্থির থাকলেও দিনের বেশিরভাগ সময় সূচক নিম্নগামী থাকে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত কার্যদিবস থেকে ৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৭৮৩ পয়েন্টে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৮ পয়েন্ট এবং শরিয়া সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৫৪৭ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে কমেছে ২৬৬টির, বেড়েছে মাত্র ৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মোট লেনদেনের পরিমাণ। আজ ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা সোনালী পেপারসের লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩৬ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।