টানা ৬ দফা বাড়ার পর কমেছে সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ৬ দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।  

   

ব্যাংকিং খাতে সুশৃঙ্খলা ফেরাতে কি বাংলাদেশ ব্যাংক?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামষ্টিক অর্থনীতির বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেই কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা বলে দাবি করেছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বাংলাদেশ ব্যাংককেও সমালোচনার বাইরে রাখছেন না। অন্যদিকে বিশ্লেষকদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সময়োপযোগী মুদ্রানীতি প্রণয়ন, তার প্রয়োগ ও তদারকিই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কাজ এবং সেটি ঠিকমতোই করা হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির বৃহৎ অংশ হলো আর্থিক নীতি ব্যবস্থাপনা এবং সেটি সরকার করে থাকে। সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ তা করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ হলো আর্থিক নীতির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নজরদারি করি, প্রয়োজনে গবেষণা করি এবং নীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করি। এই মুহূর্তে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় হার বাজারমুখী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি প্রয়োগের অন্তর্বর্তীকালে রয়েছে। গত মে মাসে মুদ্রা বিনিময় হারে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি সূচনার পর থেকে একধরনের সুফল আসতে শুরু করেছে। আগামী দিনে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আরও বাড়বে এবং ডলার সরবরাহ ও বিনিময় হারে প্রত্যাশিত না হলেও কাছাকাছি ফলাফল আমরা পাব বলে আশা করি। তবে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বর্ধিত সুদহারের প্রতিফলন পেতে আরও পাঁচ-ছয় মাস অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ভালো কিছু পাব।’

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় ঘাটতি নেই জানিয়ে নির্বাহী পরিচালক ড. মো. এজাজুল ইসলাম  বলেন, ‘নীতিমালায় ঘাটতি নেই তবে সময় লাগবে। যেমন, সুদহার আজ বাড়ালে এর প্রভাব কালই পড়বে না। কারণ সুদহার বাড়ানো হয়েছে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে। সুতরাং নতুন ঋণের প্রবৃদ্ধি কতটুকু হলো সেই সূচক আসার আগ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি কমেছে কি না, তা পরিমাপ করা যাবে না।’

গত মে মাসে সুদহারে আরোপিত স্মার্ট করিডর পদ্ধতি তুলে দিয়ে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি আরও কঠোর করা হয়। এতে ঋণের সুদ ১৩-১৪ শতাংশ পর্যন্ত উঠে যায়। এর ফলে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ পর্যায়ক্রমে আরও কমে আসতে শুরু করেছে।

এদিকে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি পদক্ষেপসমূহ নিয়ে সমালোচনা করে বলেছেন, এসব সময়োপযোগী ছিল না। অর্থাৎ যেটি যখন করা দরকার ছিল, তা তখন করা হয়নি। ফলে নীতিমালা ঠিকমতো কাজ করছে না। এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের নভেম্বরে মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এখন যে মুদ্রানীতি চলছে, তা ওই পরামর্শ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণার ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেরা অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিয়ে গবেষণার ভিত্তিতে গত জানুয়ারিতে প্রাজ্ঞ মুদ্রানীতির কারণেই অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান খবরের কাগজকে বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। মুদ্রানীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বড় কাজ হলো ব্যাংকিং খাতের সুশাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। এখানে গোষ্ঠী ও ব্যক্তির স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রভাব থাকে।’

শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক শতভাগ নিজস্বতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে না। এর একটি কারণ হলো রাজনৈতিক। গবেষণা বাড়াতে হবে ও দূরদর্শিতার প্রসার ঘটাতে হবে। সম্প্রতি যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তাবলি। দেশের ব্যাংকিং খাতকে বাঁচিয়ে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে পারলেই তাদের প্রকৃত পারদর্শিতা প্রমাণিত হবে।’

;

শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমবে না, প্রয়োজন জোরালো বাজার মনিটরিং



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ ব্যাংক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ। তবে সম্প্রতিক সময়ে এই দুটি কাজে বাংলাদেশ ব্যাংককে ব্যর্থ বলে মনে করা হচ্ছে।

মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখার কথা থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। দেশে টানা ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার বাড়িয়ে দিলেও মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়াই রয়ে গেছে। আর এর প্রভাব পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অর্থাৎ ডলারের বাজার অস্থিরতার কারণে ষান্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সূত্র জানায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কাজ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষকে স্বস্তিতে রাখা। প্রতি ছয় মাস পরপর মুদ্রানীতি ঘোষণার মাধ্যমে কাজটি করার চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা যাবে না। এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনাও উন্নত করতে হবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতিতে নতুন মুদ্রানীতিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে এখন সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ কম। সরকারের চাপে সময়মতো সঠিক নীতি নেওয়া যায়নি। এ কারণে সংকট দীর্ঘমেয়াদি হয়েছে। তবে ব্যাংক ঋণের সুদহার ইতোমধ্যে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তাই এখন নীতি সুদের হার বাড়িয়ে টাকাকে আরও দামি করে তোলা হতে পারে। এতে ঋণের সুদের হার আরও বাড়বে। তবে সবকিছু নির্ধারণ করবে মুদ্রানীতি কমিটি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার বাজারভিত্তিক রেখেই মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করে যেতে হবে। ডলারের সংকটও অনেকটা কমে এসেছে। কোনো অবস্থাতেই আর টাকা ছাপানোর দিকে যাওয়া যাবে না, বলছেন অর্থনীতিবিদরা।

জানা গেছে, শিগগির মুদ্রানীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই কমিটিতে গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি রয়েছেন অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমীন।

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা ও জিডিপিতে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই লক্ষ্য ঠিক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে।

দেশে মার্কিন ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় টাকারও সংকট চলছে, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতায় রিজার্ভ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতও নিয়ন্ত্রণহীন। মোটা দাগে এসবই হচ্ছে এখন দেশের আর্থিক খাতের প্রধান সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। তারা বছরে দুবার মুদ্রানীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরে নীতি সুদের হার দুই দফা বাড়িয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে সরকারের ব্যাংক ঋণের সুদে। সুদহারের সীমা তুলে দেওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংক ঋণের সুদে। প্রথম দফায় গত জানুয়ারিতে নীতি সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয় ও গত মে মাসে তা ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। ফলে ঋণের সুদের হার বেড়ে সাধারণত ঋণের চাহিদা কমে যায়। গত এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশে নামে। এভাবে অর্থনীতিতে অর্থের প্রবাহ কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি কাজ করছে না। ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। সর্বশেষ মে মাসে তা বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের মে মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ হয়েছিল, সেটি কিনতে এ বছরের মে মাসে খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৮৯ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কামাল মুজেরী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নেওয়া হয়েছে। এখন এর সঙ্গে রাজস্ব নীতি ও অন্যান্য নীতিকে সমন্বয় করতে হবে। বাজারে বিশৃঙ্খলার ফলে অকারণেও হঠাৎ পণ্যের দাম ওঠানামা করছে। এর মাধ্যমে মানুষের পকেট কাটছেন কিছু ব্যবসায়ী। এতেই বোঝা যাচ্ছে সমন্বয়হীনতা কতটা প্রকট হয়েছে।

;

দেশে প্রোপেন চালিত জেনারেটর পরীক্ষায় সফল ইউনিগ্যাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিগ্যাস

এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিগ্যাস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শীর্ষ এলপিজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিগ্যাস দেশে প্রথমবারের মতো শতভাগ প্রোপেন ব্যবহার করে বিখ্যাত ওয়াকেশা ইনো ব্র্যান্ডের গ্যাস জেনারেটর সফলভাবে অপারেট করতে সাফল্য অর্জন করেছে। ইউনিটেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইউনিগ্যাস শতভাগ প্রোপেন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানা গেছে।

বিগত দুই বছর ধরে ইউনিগ্যাস ও ডানা ইঞ্জিনিয়ার্স (লোকাল ডিস্ট্রিবিউটর ওয়াকেশা ইনো) গ্যাস-ভিত্তিক জেনারেটরের জন্য জ্বালানি হিসেবে শতভাগ প্রোপেন ব্যবহার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছে। সময়োপযোগী এই উদ্ভাবনের ফলে দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো গ্যাসের ঘাটতিতে এই শতভাগ প্রোপেন জেনারেটরের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ কিংবা পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারবেন।

বর্তমানে কারখানাগুলোতে জেনারেটরের জ্বালানি হিসেবে প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ডিজেল, এইচএফও ব্যবহার করা হয়, যা বেশ ব্যয়বহুল। ইউনিগ্যাসের এই শতভাগ প্রোপেন জেনারেটরের জ্বালানি হিসেবে ডিজেলের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী এবং গ্যাস-ভিত্তিক জেনারেটরগুলোতে তা সহজেই ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী এই প্রোপেন মজুতাগারে মজুত করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

ইউনিগ্যাস

প্রাকৃতিক গ্যাস জেনারেটরের জন্য বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এই শতভাগ প্রোপেন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে ইতোমধ্যে সব ধরনের সরবরাহ সুবিধার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইউনিগ্যাস, প্রস্তুত রয়েছে নিরাপদ ও অত্যাধুনিক পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রোপেন রোড ট্যাংকারও।

কোম্পানিটির এই উদ্যোগ প্রয়োজনীয় জ্বালানি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে দেশের শিল্পখাতের চাকা গতিশীল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে ইউনিগ্যাস।

এই যৌথ উদ্যোগের সফল আনুষ্ঠানিকতায় ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ডিরেক্টর (অপারেশন্স) মো. জোবায়দুল ইসলাম চৌধুরী, সিএমও মো. ফারুকুজ্জামান, হেড অব অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স মো. কামরুল হাসান, হেড অব অপারেশন্স মো. আনিসুর রহমান, আরও ছিলেন কোম্পানির টেকনিক্যাল হেড মো. আশফাক নাবিল। ডানা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ মাসুদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লে. কর্নেল (অব.) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর শেখ তৌহিদুল ইসলাম এবং সিনিয়র জিএম রেহানা পারভিন।

ইউনিগ্যাস বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ও বহু-মাত্রিক ইউনিটেক্স গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পারফেক্ট কেয়ার লিমিটেডের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডও ইউনিটেক্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৯২ সালে স্পিনিং ও কম্পোজিট কোম্পানির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউনিটেক্স গ্রুপ। সম্প্রতি সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে। এর মধ্যে রয়েছে এইচএস কম্পোজিট, ‘ইউনিটেক্স স্পিনিং মিলস ইউনিট, স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ইউনিটেক্স জুট ইন্ডাস্ট্রি, ইউনিটেক্স স্টিল মিলস লিমিটেড, সোনালী ফাইবার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। এসব প্রকল্প পুরোপুরি চালু হলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পাশাপাশি, বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে।

;

পুনরায় সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কায়সার, ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আজিজ আল কায়সার ও হোসেন খালেদ ভাইস, ছবি: সংগৃহীত

আজিজ আল কায়সার ও হোসেন খালেদ ভাইস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আজিজ আল কায়সার ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও হোসেন খালেদ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হলেন।

সোমবার (২৪ জুন) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক আজিজ আল কায়সার এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মোট তিন মেয়াদে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি সিটি ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

আজিজ আল কায়সারের হাত ধরেই ২০০৮ সালে এ ব্যাংকের পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। এই পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তিনি যেসব পরিবর্তন আনেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাংকের ব্যবসাসমূহ ও অপারেশনের কেন্দ্রীভূতকরণ, পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ব্যাংকিং ও রিটেইল ব্যবসা চালু করা, আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের প্রবর্তন, ব্যাংকটির জন্য ডিজিটাল অভিমুখ প্রণয়ন, সিটিজেম প্রায়োরিটি ব্যাংকিং সেবা ও সিটি আলো নারী ব্যাংকিংসহ ঢাকা বিমানবন্দরে বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ চালুকরণ, এসএমই ও ক্ষুদ্র লোন ব্যবসা এবং ডিজিটাল লোন প্রবর্তন, ইত্যাদি। তার নেতৃত্বে সিটি ব্যাংক সম্প্রতি দেশের প্রথম ব্যাঙ্কাসুরেন্স লাইসেন্স অর্জন করে। সেইসাথে তিনি এ ব্যাংকের চার সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড, মালয়েশিয়ায় ১৫টি শাখা সম্পন্ন সিবিএল মানি ট্রান্সফার কোম্পানি এবং সিটি হংকং লিমিটেড স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে শুধু গত পাঁচ বছরেই ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ ২০১৮ সালের ২২২ কোটি টাকা থেকে এ মুনাফা ২০২৩ সালে ৬৩৮ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। একই সময়ে ব্যাংকের রিটার্ন অন ইক্যুইটি ৮.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৭.৭ শতাংশতে পৌঁছায়। এ সময়ের মধ্যে সিটি ব্যাংক টানা তিন বছর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ‘শীর্ষ টেকসই ব্যাংক’ রেটিংয়েও ভূষিত হয়।

আজিজ আল কায়সার বর্তমানে পারটেক্স স্টার গ্রুপের পরিচালক এবং এর বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি মালয়েশিয়ায় সিটি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিবিএল মানি ট্রান্সফারের চেয়ারম্যান হিসেবেও নিয়োজিত আছেন।

অন্যদিকে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়া হোসেন খালেদ দেশের একজন সুপরিচিত ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব। তিনিও এ ব্যাংকের একজন অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক। যুক্তরাষ্ট্রের টলেডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক করার পরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংয়ের ওপর তিনি এমবিএ করেন এবং ২০০০ সালে পারিবারিক ব্যবসা আনোয়ার গ্রুপে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এই শিল্পগোষ্ঠীকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছেন। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আজ পর্যন্ত সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে মোট চার মেয়াদে এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশে অন্ট্রেপ্রেনার অর্গানাইজেশন বা ইও-র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি সিটি ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড ও সিটি হংকং লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং একইসাথে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বোর্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক।

;