‘যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি সেখানে প্রাপ্তিও বেশি’

বিদ্যুৎ-জ্বালানী, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 00:38:28

যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি সেখানে প্রাপ্তিও বেশি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চ্যালেঞ্জ বেশি, এখানে সাফল্য পেলে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইপি টকসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন স্পেশাল ইনভয় টু সিভিএফ প্রেসিডেন্সি এবং বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, সোলার নিয়ে ব্যাপক কাজ হয়েছে। এখাতে অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশে বিশাল চর পড়ে আছে। সেখানে সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এখান থেকে ৪/৫ সেন্টে বিদ্যুৎ পাওয়া যেতে পারে। বিভাগীয় শহরের সরকারি ভবনগুলোর ছাদে সোলার স্থাপন করা যায়, রেললাইনের ওপর সোলার বসানো যায়, সড়কের দুপাশেও সোলার প্যানেল স্থান করা যায়। অনেক বাঁধ রয়েছে সেখানেও সোলার বসানো যায়। কাপ্তাই লেকে ভাসমান সোলার প্যানেল স্থাপন করা যেতে পারে। কাপ্তাই লেকের ১% এলাকায় সোলার বসিয়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এসব বিষয় নিয়ে স্রেডার কাজ করার সুযোগ আছে। এরই মধ্যে বায়ু ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে। সাগরের বায়ু জ্বালানি নিয়ে নীতিমালা তৈরি করা জরুরি। স্রেডাকে ওয়ান স্টপ কেন্দ্র করা জটিল কোনো বিষয় নয়।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানির অস্থির বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা খুবই কঠিন। জ্বালানি কেনা খাত থেকে যদি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা যায় তা দেশের অন্যান্য খাতে উন্নয়নের কাজে লাগবে।

স্রেডা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সোলার হোম নিয়ে আমাদের সাফল্য অনেক। তবে বহুল জনসংখ্যার দেশে জমি স্বল্পতা বড় সমস্যা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিজনেস মডেল প্রয়োজন। সোলার ইরিগেশনে বিজনেস মডেল তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ সেচের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় মাত্র ৪ মাস, কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ১২ মাস। সেক্ষেত্রে বাকি সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। বায়ু এনার্জি আইপপিতে ২৪৫ মেগাওয়াট এবং সিরাজগঞ্জে সরকারিভাবে ১১০ মেগাওয়াট উৎপাদনের কাজ চলছে। কোস্টাল এলাকায় বায়ু এনার্জির সম্ভাবনা নিয়ে ডাটা সংগ্রহের কাজ চলছে। বঙ্গপোসাগরে বায়ু এনার্জি কীভাবে কাজে লাগান যায় তা নিয়ে স্রেডা কাজ করছে।

পাওয়ার সেল'র মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের স্টোরেজ নিয়ে স্রেডাকে কাজ করতে হবে। এখাতে পলিসি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ২০১০-১৫ ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সুসময়, ২০১৫-২০ এ আমরা জোর দিয়েছি সঞ্চালন-বিতরণের দিকে। আর ২০২১-২৫ এ আমাদের সাসটেইনেবল এনার্জির দিকে নজর দিতে হবে। স্রেডা এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে। যদিও এখনও সঞ্চালন ব্যবস্থা তেমন ভালো না বলে বেশ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে উৎপাদন সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গ্যাস বা কয়লার অভাবে পূর্ণ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। এজন্যই প্রয়োজন নবায়নযোগ্য এনার্জি। এছাড়া নবায়নযোগ্য এনার্জি যদি সাশ্রয়ী করা যায় তাহলেই তা টেকসই জ্বালানিতে রূপান্তরিত হবে। জলবায়ু তহবিল আর জ্বালানি সহায়তা তহবিল যেন মিলিয়ে ফেলা না হয় তাও দেখতে হবে।

আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ সোলার এন্ড রিনিয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আল মুদাব্বির বিন আনাম এবং জুলস পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুহের এল খান।

সঞ্চালন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর