পাচারের টাকা ফেরত আনা কঠিন: বিএফআইইউ

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 18:52:11

আমদানি পণ্যের দর অনেক বেশি দেখিয়ে সাধারণত অর্থ পাচার করা হয় জানিয়ে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত সংস্থা বিএফআইইউ এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেছেন, একবার অর্থ পাচার হলে তা ফেরত আনা কঠিন। সারা পৃথিবীতে পাচার হওয়া অর্থের এক শতাংশও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএফআইইউ-এর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মাসুদ বিশ্বাস বলেন, উন্নয়নশীল দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়। বাংলাদেশ থেকেও টাকা পাচার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে উঠে এসেছে বিভিন্ন পণ্যে ২০ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএফআইইউর উপ-প্রধান মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএফআইইউর পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন ও মো. মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রিপোর্টিং এজেন্সি ৮ হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টিং (এসটিআর) করেছে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি। এর মানে এক বছরে এসটিআর বেড়েছে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রিপোর্টিং বৃদ্ধির মানেই সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে, তেমন নয়। বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে আগের চেয়ে বেশি রিপোর্ট হতে পারে। একইভাবে নগদ লেনদেন রিপোর্টিং (সিটিআর) ৪৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ১১৩টি। করোনা পরবর্তী সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা কার্যক্রমের ফলে এটি বেড়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ, দুদকসহ আন্তঃসংস্থার মধ্যে তথ্য বিনিময় আগের বছরের এক হাজার ৪১৪টি থেকে কমে ৮৩৩টিতে নেমেছে। ব্যাংকার্স বুক এভিডেন্স সংশোধনের ফলে পুলিশ যেহেতু সরাসরি অনেক তথ্য নিতে পারে, সে কারণে এটি কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহজনক শীর্ষ ২০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট এক হাজার ৩৯২ কোটি টাকা জমা হয়। আর উত্তোলন হয় এক হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর