এপ্রিলে জ্বালানি তেলের নতুন দর: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ-জ্বালানী, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-01-16 15:16:31

আগামী এপ্রিল-মে মাসে জ্বালানি তেল আধুনিক প্রাইসের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে কমে যাবে আবার বেড়ে গেলে বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভায় ফের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন প্রথম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এর আগে দু'দফায় ১০ বছর এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতসহ অনেক দেশে দর প্রতিদিন উঠা-নামা করে। আমরা আপাতত প্রতিমাসে সমন্বয় করবো। তবে হঠাৎ করে দাম বেশি বেড়ে গেলে যাতে কোন সংকট না হয় তার জন্য মেকানিজম বের করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের বড় চ্যালেঞ্জ সেচ মৌসুম এবং রোজা। এবার গরম বাড়তে পারে, আমরা মনে করছি চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিতরণ ও সঞ্চালনের ভালো অবস্থা, এটা দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জায়গায় অর্থ বড় বিষয়। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রয়োজন। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা চলছে, সময় পেলেই বৈঠক।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল-গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে, আরও যদি বেড়ে যায় তাহলে সংকট হতে পারে। ইতোমধ্যেই জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দাম সহনীয় রাখা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এপিএ বাস্তবায়নে ৬ বারের মধ্যে ৪ বার প্রথম হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এবারও প্রথম হতে যাচ্ছি। জ্বালানি বিভাগও অনেক ভালো করেছে। এডিপি বাস্তবায়নে সব সময় শতভাগ অর্জন করে সবার শীর্ষে রয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আগামী পথচলায় আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। আমরা সকলে মিলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম গভীর সমুদ্রে অধিক কোম্পানিকে প্রতিযোগিতায় আনা। এখন আমরা মোটামুটি প্রস্তুত, সাগরে মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের তথ্য আমাদের হাতে চলে আসবে। এই বছরের মধ্যে উন্মুক্ত দরপত্রের দিকে যেতে পারবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭ ডলারের গ্যাস ৬৭ ডলার হয়েছে। ৭০ ডলারের তেল ১৪০ ডলার দিয়ে কিনতে হয়েছে। এতে করে গত বছর অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। গত বছর এক সময় আমদানি বন্ধ করে লোডশেডিং করতে হয়েছে।

কয়লা উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো, কৃষিজমির ক্ষতি না করে কয়লা তোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর