গুলশানে ঈদে বিলাসবহুল কেনাকাটা

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-04-07 17:40:42

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে পুরোদস্তুর চলছে ঈদের কেনাকাটা। শেষ মুহূর্তে ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতাদের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফ্যাশন হাউসসহ বিপণী বিতানগুলোর বিক্রেতারা।

রোববার (০৭ এপ্রিল) ঈদের বাকি মাত্র ৩ দিন। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় নিরিবিলি পরিবেশে ক্রেতা বিক্রেতারা ব্যস্ত শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় । বিক্রি হচ্ছে ফ্যাশন হাউজের নানা ধরনের ডিজাইনার পোশাক জুতা ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী ।

সরেজমিনে গুলশান-১ এলাকার পুলিশ প্লাজা, গুলশান-২ এর পিংক সিটি শপিং মল ও অন্যান্য বিপণী বিতান ঘুরে দেখা যায়, শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি পিস, জুতা, কসমেটিকস, ডিজাইনার ড্রেস ও পাকিস্তানি ড্রেসের দোকানগুলোতেই তুলনামূলক ভিড় বেশি।

গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার শপিংমলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশীয় ডিজাইনার ড্রেসের পাশাপাশি পাকিস্তানি  আগানুর, সাদাবাহার, বিন সায়েদ, ড্রেসের চাহিদা বেশি।


ঈদ উপলক্ষ্যে ডিজাইনার শপগুলো নিজস্ব ডিজাইনের বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়েছে। সাধারণ থেকে এক্সক্লুসিভ সব ধরনের পোশাক তারা রেখেছেন ক্রেতাদের জন্য। ৩ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আবার ৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার পোশাক পাওয়া যাচ্ছে দোকানগুলোতে। ডিজাইনার শাড়ি ৫ হাজার থেকে ৪০/৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে ব্রান্ডের শোরুমগুলোতেও নতুন ডিজাইনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। পুলিশ প্লাজার নিচতলায় কে ক্রাফট ব্রান্ড এর কর্মী জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে তাদের পাঞ্জাবিসহ থ্রিপিস, শাড়ি, টপস, ওয়ান পিছের নতুন কালেকশন করা হয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুলশানের এ মার্কেট গুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষভাবে আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দামি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এসব শপিংমলের বিক্রেতারা। দেশ বিদেশের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দোকানে সেখান থেকে ক্রেতারা কিনছেন তাদের পছন্দমতো। পোশাকের দাম নিয়ে কিছু জন অভিযোগ করলেও বেশিরভাগ এর কাছে দাম কোন সমস্যা নয় পছন্দটাই মুখ্য বিষয় ।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মেহরিন জামান বলেন, "দাম ফ্যাক্ট না ম্যাটেরিয়াল ভালো হলে ডিজাইনার ড্রেস বেশি দাম দিয়ে কিনতে সমস্যা নাই। ডিজাইনার ড্রেস গুলো এক্সক্লুসিভ হয় সাধারণত। একপিস ই পরবেন আপনি তাহলে তো দাম বেশি হবেই"।


পুলিশ প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী আয়েশা সিদ্দিকা জানান, ‘নিজের ও পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা আগেই শেষ এখন গিফটের জন্য কিছু শাড়ি নিতে এসেছি ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার করে চারটা শাড়ি নিয়েছি শ্বশুরবাড়ির জন্য।’

গুলশান-২ এর পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স এ দেখা যায় ক্রেতা সমাগম। এখানে অনেক ডিজাইনার শপের তৈরিকৃত পোশাকের দাম ও মান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে অনেক বিক্রেতারা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়, ছবি তুলতে দিতে ও নারাজ। অফিসের সমস্যা আর অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এগুলো নিয়ে ট্যাক্স সমস্যা হবে বলে কথা বলতে চান না তারা।

রমজানের শেষ ভাগে এসে হতাশার কথাও বলেন গুলশান শপিং মলের অনেক বিক্রেতা। তারা বলেন, আমাদের এখানে বিদেশি নানা ব্রান্ডের জামা জুতা রয়েছে ডলারের দাম বাড়ার কারণে এ-সব পোশাকের দাম বেড়েছে। যার জন্য তুলনামূলক বিক্রি কম।

পিংক সিটি কমপ্লেক্স -এর এক্সিলেন্ট কালেকশন’র স্বত্বাধিকারী রিপন জানান, ঈদে আমাদের তেমন বিক্রি হয়নি। এই এলাকার সবাই বিদেশ থেকে শপিং করে। তাতে আবার ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জনের কাহিনি। পার্টি পেমেন্ট ঠিক করে দিতে পারবো না"।

শর্মীস কালেকশনের রাশেদ জানান, রমজানের শেষ শুক্রও শনিবার যেমন বিক্রির আশা করেছি তেমন হয়নি। অনেক কাস্টমার ইন্ডিয়া বা অন্যান্য দেশে গেছে শপিং করতে। পাকিস্তানি ড্রেসের চাপ কিছুটা বেশি। তবে আগের ঈদের তুলনায় বেচাকেনা কম হয়েছে। অনেকে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর