চতুর্থবারের মতো পুঁজিবাজার মেলা রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনে শুরু হবে।আগামী বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়ে এ মেলা চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত।
তিন দিনব্যাপী 'ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৯' অর্থাৎ পুঁজিবাজার মেলার লক্ষ্য বাজারের ব্র্যান্ডিং এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ তথ্য জানান। এ সময় অর্থসূচকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কামরুন নাহার শারমিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেলার সার্বিক বিষয় তুলে ধরে জিয়াউর রহমান বলেন, 'বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।'
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। সবার জন্য খোলা থাকবে প্রবেশে কোনো টিকেট লাগবে না। এবাবের মেলায় বিনিয়োগের কলাকৌশল, পুঁজিবাজারে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা, বিদ্যুৎ খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল ও পুঁজিবাজার, শিল্পায়নে পুঁজিবাজারের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারগুলোতে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর শীর্ষ কর্মকর্তা খ্যাতনামা স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অ্যাসেট ম্যানেজার, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্টরা অংশ নেবেন।
জিয়াউর রহমান বলেন, 'আমাদের অর্থনীতির আকার ও প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে আছে। আমাদের জিডিপি ও পুঁজিবাজারের মূলধনের অনুপাত মাত্র ১৭ শতাংশের মতো। অথচ পাশের দেশ ভারতেও প্রায় ৭৭ শতাংশ। মালয়েশিয়া ও হংকং এ তা ১০০ শতাংশের বেশি। দেশের অর্থনীতির স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নে দেশে পুঁজিবাজারের বিকাশ খুবই জরুরি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, 'সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত অর্থনীতির দেশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশাল বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পুঁজিবাজার সম্পর্কিত সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়টিকে মাথায় রেখে এক্সপোতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের স্টল থাকবে।'
অর্থসূচক সম্পাদক বলেন, 'এক্সপোতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকেট লাগবে না। উল্টো প্রবেশ কুপনের র্যাফেল ড্রতে থাকবে মূল্যবান সব পুরস্কার। এক্সপোর প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে রানার অটোমোবাইলসের সৌজন্যে একটি ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল।'