পেঁয়াজে কারসাজি, রাজধানীতে কেজি ১২০ টাকা

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-18 07:45:52

 

একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে আরও বাড়ল ১০-১৫ টাকা। ফলে সোমবার একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ রাজধানীতে ১০৫ থেকে ১২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মঙ্গলবার(০১অক্টোবর)রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনী, শান্তিনগর এবং কমালপুর কাঁচাবাজারগুলোতে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১০৫-১২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দুদিন আগেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তারা অভিযোগ করছেন, কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে।দেশের যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে, তা অন্তত আরও ৪-৫ মাস চলবে। কিন্তু ভারত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে এমন খবরে বেশি দামে বিক্রি করছে। কারণ প্রতিটি গুদামে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে।ফলে গুদামে রেখেও পেঁয়াজ বিক্রি করছেন আড়তদাররা।তাই আমাদের বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। আর সেই দরেই বাজারে বিক্রি করছি।

কমলাপুরে বাজার করতে আসা রিমন বিশ্বাস পেঁয়াজের দাম শোনার পরই ক্ষেপে গিয়ে বলেন, দেশের উন্নতি হয়েছে। জিডিপি বাড়ছে এটা প্রমাণ করতে হবে না। সরকার পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে তা দেখিয়েছেন।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সরকারি মদদে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। নয় তো ১২০টাকা কেজি পেঁয়াজের দাম হয় কিভাবে? তিনি বলেন, সরকার পারে না, এমন কিছু নেই।

এদিকে পেঁয়াজের দর যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য রাজধানীতে ৪৫টি স্পটে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি তথ্য মতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিকটন। দেশেই উৎপাদিত হয় প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিকটন পেঁয়াজ। বাকিটা আসে ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু গত রোববার ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। এ সিদ্ধান্ত জানার পর থেকেই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর