দেশের পুঁজিবাজারে গত সোমবারের (১৩ জানুয়ারি) মতো মঙ্গলবারও বড় দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৮৭ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২৩৮ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। আর তাতে ডিএসইর বিনিয়োগাকরীদের পুঁজি নেই অর্থাৎ মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৬৭৮ কোটি ৬৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। এর আগের দিনও কমেছিল ৬ হাজার ১৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
সব মিলে চলতি সপ্তাহের শেষ দুদিনে মূলধন কমলো সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে টানা পাঁচদিন দরপতনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক ও শেয়ারের দাম কিছুটা বেড়েছিল। ধীরে ধীরে ২০১০ সালের চেয়ে ভয়াবহ ধসে পরিণত হয়েছে বাজার।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করেছে। আর বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কে দিন পার করছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, আগের দিনের মতোই মঙ্গলবারও সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। সূচকের এই নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর শেষ ১৫ মিনিট সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়। এদিনও গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক রেনেটা এবং স্কয়ারসহ বড় কোম্পানির দাম কমায় বড় দরপতন হয়েছে।
ফলে দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের ৮৭ দশমিক ২৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস সূচক ২২ পয়েন্ট কমে ৯০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ২৯৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এদিন ডিএসইতে মোট ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার টাকা।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৭০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৩০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৩ হাজার টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ১৯৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর তাতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৮৫০ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকা।