টানা দু’দিন বড় দরপতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কর্ম দিবস বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এতে টানা দুদিনে হারানো সূচক ১৭৬ পয়েন্টের মধ্যে বুধবার ৩২ পয়েন্টে ফিরে পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইর)। বিনিয়োগকারীরাও তাদের হারানো সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার মূলধনের মধ্যে ১ হাজার ১৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা ফিরে পেয়েছে।
একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বুধবার সিএসইতে প্রধান সূচক ৯৩ পয়েন্ট বেড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও মতিঝিলের রাস্তায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা পুঁজিবাজারের অব্যাহত পতনের দায়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে বিএসইসিকে পুনর্গঠনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় ৮০ পয়েন্টের বেশি বাড়ে। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে আবারও শুরু হয় সূচকের ওঠানামা।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের ৩১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৯১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১০টির, কমেছে ৯৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৪২ কোটি ৮২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার টাকা এবং সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬ হাজার টাকা।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।