দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যা গতবারের চেয়ে এক হাজার ৯২৩ জন কম। এরইমধ্যে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কন্ট্রোল রুম খুলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুর।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলী।
তিনি বলেন, চলতি ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার দুই হাজার ৭২৫টি স্কুলের ২৭৮ পরীক্ষা কেন্দ্রে এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৮৬১ জন ও ছাত্রী ৯৮ হাজার ৫৭৫ জন। এসব পরীক্ষার্থীর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী এক লাখ ৬৩ হাজার ৫০৭, অনিয়মিত ৩৫ হাজার ৫৯৬ জন ও জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থী ৩৩৩ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে মোট ৯৬ হাজার ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫২ হাজার ১৬৯ জন ও ছাত্রী ৪৪ হাজার ১০০, মানবিক বিভাগে এক লাখ ৫৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৬ হাজার ৮২৩ জন ও ছাত্রী ৫৩ হাজার ৭২৬ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে দুই হাজার ৬১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক হাজার ৮৬৯ জন ও ছাত্রী ৭৪৯ জন।
জেলাভিত্তিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেবে- রংপুর জেলায় ৩৪ হাজার ৭৭৭ জন, গাইবান্ধায় ২৭ হাজার ৪৪৪ জন, নীলফামারীতে ২৩ হাজার ৫১৫ জন, কুড়িগ্রামে ২২ হাজার ৯৮০ জন, লালমনিরহাটে ১৫ হাজার ৩৮৭, দিনাজপুরে ৪০ হাজার ৮৫২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ২০ হাজার ১৮০ জন এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৪ হাজার ৩০১ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।
শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। শেষ হবে ১২ মার্চ।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান স ম আবুল কালাম আজাদ জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ ও ত্রুটিমুক্ত পরিবেশে বিগত দিনের মতো এবারও এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা উপকরণ ও প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সমন্বয়ে ৭টি টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাহিরে ২০০ গজের মধ্যে সাধারণের চলাচল নিষেধ করে প্রত্যেক জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মাইকিং করে সচেতনতা করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।