জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।
এ ছাড়া বাকি আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে এদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে শুরু হওয়া সিন্ডিকেট সভা শেষে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান।
চিরস্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেকজন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।
এ ছাড়া বহিরাগত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে বলে জানান রেজিস্ট্রার।
এদিকে, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
হল ত্যাগ না করলে একাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রার আবু হাসান।
তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিলের পর যদি ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এমন কেউ হল ত্যাগ না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।