বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএমইউ) আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে ‘সাসটেইনেবল ওশান ইকোনোমি: এডভান্সিং বাংলাদেশ'স ব্ল গ্রোথ- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার করা হয়েছে।
উক্ত সেমিনারের সমাপনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়াও উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও চেয়ারম্যান (অতি. দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্ল-ইকোনমি পলিসি বাস্তবায়নের জন্য মেরিটাইম শিক্ষা ও গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সময়োপযোগী বিষয়ের ওপর আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান।
নৌবাহিনী প্রধান উলেখ করেন যে, মেরিটাইম সেক্টরে মানসম্মত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের মেরিটাইম পেশাদার গড়ে তুলতে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অগ্রগতির বিষয়ে আলোকপাত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকে জাপান-বাংলাদেশ সুস্পর্কের কথা উলেখ করার পাশাপাশি ব্ল-ইকোনমি খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সাথে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য সমুদ্রবিজ্ঞানের বিবিধ ব্যবহার ও নতুন নতুন গবেষণার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা সেমিনারে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশের মেরিটাইম খাতের উন্নয়নে একত্রে কাজ করার প্রতি আহবান জানান।
সেমিনারে ভারত, চীন, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য এবং স্বাগতিক বাংলাদেশের মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদগণ তাদের মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিসহ অন্যান্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত প্রতিনিধি, কূটনৈতিক, মেরিটাইম সংস্থা এবং মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী এই সেমিনারে ১টি প্ল্যানারি সেশন ও ৩টি প্যারালাল টেকনিকাল সেশনের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।