মান্না দে ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী। গানের রাজপ্রাসাদে বসে শ্রোতাদের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতেন মায়াবী সুরলহরী। তাঁর গায়কীতে মোহাবিষ্ট হতো সংগীতানুরাগীরা।
ষাট বছরেরও বেশি সময়ে হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় গান করেছেন মান্না দে। বৈচিত্র্যের বিচারে তাঁকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক ভাবেন বোদ্ধারা। আজ কিংবদন্তি এই ব্যক্তিত্বের প্রয়াণ দিবস। একনজরে দেখা যাক তাঁর একটুকরো জীবন।
#মান্না দের প্রকৃত নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। ডাকনাম ‘মানা’ থেকে তিনি হয়ে ওঠেন মান্না।
#পাড়ার পাঠশালা-স্কটিশ চার্চ স্কুল-স্কটিশ চার্চ কলেজের পর স্নাতক সম্পন্ন করেন বিদ্যাসাগর কলেজে।
#শৈশব থেকেই আগ্রহ ছিল শরীরচর্চা ও খেলাধুলায়। নিয়মিত ছিলেন কুস্তির আখড়ায়। স্বনামধন্য গোবর গুহর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ওস্তাদের মতোই কুস্তি খেলতেন।
#সংগীত জগতে আসবেন নাকি আইনজীবী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মান্না দে। তবে কাকা কৃষ্ণচন্দ্র চাইতেন ভাইপো গান করুক। কাকার ইচ্ছাতেই তাঁর গানের জগতে আসা।
#বিভিন্ন হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ওস্তাদ আমান আলি খান এবং ওস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন।
#প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৪২ সালে, ‘তামান্না’ ছবিতে। তখন এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
#‘রামরাজ্য’ ছবিতে কোরাস শিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছিলেন।
#১৯৫২ সালে একই নামে এবং গল্পে বাংলা ও মারাঠি ছবি ‘অমর ভূপালী’তে গান করেন। এর মাধ্যমে জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে স্বীকৃতি পেয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
#১৯৪২-২০১৩ সাল পর্যন্ত রবীন্দ্রসঙ্গীতসহ প্রায় চার হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
#বাংলা, হিন্দি ছাড়াও মৈথিলি, পাঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়ালাম ভাষায় গান করেছেন মান্না দে।
#১৯৭১ সালে ভূষিত হন পদ্মশ্রী সম্মানে। ২০০৫-এ পদ্মভূষণ এবং ২০০৭-এ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হন।
#২০১৩ সালের ৮ জুন ফুসফুসে জটিলতার কারণে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন মান্না দে। একই বছরের ২৪ অক্টোবর মারা যান তিনি।