আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফারাহ নাজ। কিন্তু ১০ বছর কাজ করার পর ইন্ডাস্ট্রি থেকে বিদায় নেন তিনি। এরপর দীর্ঘ বিরতি শেষে ২০০৪ সালে ‘হুলছুল’ ছবির মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় কামব্যাক করেন তিনি। আজ এই প্রতিবেদনের মধ্যে আমরা জেনে নেবো ৯০ দশকের এই সুন্দরীর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের কিছু জানা-অজানা গল্প।
১৯৬৮ সালের ৯ ডিসেম্বর ভারতের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেছেন ফারাহ নাজ। তিনি বলিউড অভিনেত্রী টাবুর বোন।
বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শাবানা আজমির ভাগ্নি ফারাহ নাজ।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ফারাহ নাজের শুরুটা হয়েছিলো যশ চোপড়া পরিচালিত ‘ফাসলে’ ছবির মধ্য দিয়ে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন মহেন্দ্র কাপুরের ছেলে রোহান কাপুর।
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো ফারাহ নাজ অভিনীত প্রথম ছবি ‘ফাসলে’। তারপরও সেসময় অনেক জনপ্রিয় নির্মাতাদের থেকে ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
ফারাহ নাজের অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নাসিব আপনা আপনা’, ‘ঈমানদার’, ‘হামারা খানদান’, ‘নাকাব’, ‘ইয়াতিম’, ‘বাপ নাম্বরি বেটা দশ নাম্বরি’, ‘বেগুনাহ’, ‘ভাই হো তো অ্যায়সা’, ‘সতেলা ভাই’।
জেপি দত্তের ‘ইয়াতিম’-এ তার অভিনয় বেশ সমালোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিলো।
রাজেশ খান্না, ঋষি কাপুর, সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওল, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফ, মিঠুন চক্রবর্তী, গোবিন্দ, আদিত্য পাঞ্চোলি ও আমির খানের সঙ্গে কাজ করেছেন ফারাহ নাজ।
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ এই তিন বছর খুব বাজে সময় পাড় করেছেন ফারাহ নাজ। এই তিন বছর বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখেননি তিনি।
বড়পর্দায় ব্যর্থতার পর ছোটপর্দার দিকে ফোকাস করতে থাকেন ফারাহ নাজ।
১৯৯৬ সালে অভিনেতা ভিন্দু দারা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ফারাহ নাজ। ফাতেহ রানধাওয়া নামে তাদের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু ২০০২ সালে সংসার জীবনের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি।
ভিন্দুর সঙ্গে সংসার জীবনের ইতি টানার পর সুমিত সেইগালের প্রেমে পড়েন ফারাহ নাজ। তারা দু’জনে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘ঈমানদার’, ‘প্রেম ধর্ম’, ‘লস্কর’ ‘বাহার আনে তাক’, ‘গুনাহ’তে। ২০০৩ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।