বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ৬৩তম আসরের সামনের সারির চারটি পুরস্কার বাগিয়ে নিলেন গায়িকারা। আমেরিকান গায়িকা টেলর সুইফটের হাতে উঠেছে অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার সম্মান। করোনাকালে লকডাউনের সময় প্রকাশিত ‘ফোকলোর’ তাকে পুরস্কারটি এনে দিয়েছে। ‘এভরিথিং আই ওয়ান্টেড’ জিতেছে রেকর্ড অব দ্য ইয়ার পুরস্কার। সং অব দ্য ইয়ার হয়েছে পুলিশের হাতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে কেন্দ্র করে হারের গাওয়া ‘আই কান্ট ব্রেদ’।
সেরা নতুন সংগীতশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন নারী র্যাপার মেগান দি স্টালিয়ন। এছাড়া ‘স্যাভেজ’ গানের জন্য সেরা র্যাপ সং ও সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স পুরস্কার দুটিও উঠেছে তার হাত। গানটিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন বিয়ন্সে। আমেরিকান এই গায়িকা পেয়েছেন চারটি বিভাগের ট্রফি। অন্য দুটি হলো সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স (ব্ল্যাক প্যারেড) এবং সেরা মিউজিক ভিডিও (ব্রাউন স্কিন গার্ল)। সব মিলিয়ে তার ঝুলিতে জমা হলো ২৮টি গ্র্যামি। এর মাধ্যমে গ্র্যামিতে সবচেয়ে ট্রফি জেতা নারী হিসেবে অ্যালিসন ক্রাউসকে টপকে গেলেন তিনি। টেলর সুইফটও ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম গায়িকা হিসেবে বর্ষসেরা অ্যালবাম শাখায় তিনবার জয়ের রেকর্ড এখন তার দখলে।
যুক্তরাষ্ট্রে লস অ্যাঞ্জেলেসের স্টেপলস সেন্টারে ১৪ মার্চ (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সোমবার সকাল) জমকালো আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ট্রেভর নোয়া।
৬৩তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ী তালিকা
অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার-ফোকলোর (টেলর সুইফট)
রেকর্ড অব দ্য ইয়ার-এভরিথিং আই ওয়ান্টেড (বিলি আইলিশ)
সং অব দ্য ইয়ার-আই কান্ট ব্রেদ (হার)
সেরা নতুন শিল্পী-মেগান দি স্টালিয়ন
সেরা পপ সলো পারফরম্যান্স-ওয়াটারমেলন সুগার (হ্যারি স্টাইলস
সেরা পপ দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স-রেইন অন মি (লেডি গাগা ও আরিয়ানা গ্র্যান্ড)
সেরা পপ ভোকাল অ্যালবাম-ফিউচার নস্টালজিয়া (দুয়া লিপা)
সেরা প্রগ্রেসিভ রিদম অ্যান্ড ব্লুজ অ্যালবাম-ইট ইজ হোয়াট ইট ইজ (থান্ডারক্যাট)
সেরা র্যাপ সং: স্যাভেজ-মেগান দি স্টালিয়ন ফিচারিং বিয়ন্সে
সেরা র্যাপ অ্যালবাম: কিং’স ডিজিজ (নাস)
সেরা মেলোডিক র্যাপ পারফরম্যান্স: লকডাউন-অ্যান্ডারসন.পাক
সেরা ড্যান্স রেকর্ডিং: টেন পারসেন্ট-কেত্রানাডা ফিচারিং ক্যালি উচিস
সেরা ড্যান্স/ইলেক্ট্রনিক অ্যালবাম: বাবা-কেট্রানাডা
সেরা রক পারফরম্যান্স: শামেইকা-ফিওনা অ্যাপল
সেরা মেটাল পারফরম্যান্স: বডিকাউন্ট-বাম রাশ
সেরা রক অ্যালবাম: দ্য নিউ অ্যাবনরমাল-দ্য স্ট্রোকস
সেরা অল্টারনেটিভ অ্যালবাম: ফেচ দ্য বোল্ট কাটারস-ফিওনা অ্যাপল
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স: ব্ল্যাক প্যারেড-বিয়ন্সে
সেরা কান্ট্রি অ্যালবাম: ওয়াইল্ড কার্ড-মিরান্ডা ল্যাম্বার্ট
সেরা কান্ট্রি সলো পারফরম্যান্স: হোয়েন মাই আর্মি প্রেস-ভিঞ্চ গিল
সেরা কান্ট্রি দ্বৈত/দলীয় পারফরম্যান্স: টেন থাউজেন্ড ইয়ারস-ড্যান প্লাস শেই ও জাস্টিন বিবার
সেরা মিউজিক্যাল থিয়েটার অ্যালবাম: জ্যাগড লিটল পিল
বর্ষসেরা প্রযোজক (নন-ক্লাসিক্যাল): অ্যান্ড্রু ওয়াট
সেরা মিউজিক ভিডিও: ব্রাউন স্কিন গার্ল-বিয়ন্সে ফিচারিং ব্লু আইভি ও উইজকিড
সেরা মিউজিক ফিল্ম: লিন্ডা রনস্ট্যাড: দ্য সাউন্ড অব মাই ভয়েস-লিন্ডা রনস্ট্যাড
সেরা ট্র্যাডিশনাল পপ ভোকাল অ্যালবাম: আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড-জেমস টেলর
সেরা কনটেম্পোরারি ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম: লাইভ অ্যাট রয়েল আলবার্ট হল-স্নার্কি পাপি
সেরা রক সং: স্টে হাই-ব্রিটানি হাওয়ার্ড
সেরা ট্র্যাডিশনাল রিদম অ্যান্ড ব্লুজ পারফরম্যান্স: অ্যানিথিং ফর ইউ-লেডিসি
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ সং: বেটার দ্যান আই ইমাজিন্ড-রবার্ট গ্ল্যাসপার ফিচারিং হার ও মেশেল নেদেগেচেলো
সেরা রিদম অ্যান্ড ব্লুজ অ্যালবাম: বিগার লাভ-জন লিজেন্ড
সেরা র্যাপ পারফরম্যান্স: স্যাভেজ-মেগান দি স্টালিয়ন ফিচারিং বিয়ন্সে
সেরা কান্ট্রি সং: ক্রাউডেড টেবিল-দ্য হাইউইমেন
সেরা নিউ এজ অ্যালবাম: মোর গিটার স্টোরিস-জিম ‘কিমো’ ওয়েস্ট
সেরা ইমপ্রোভাইজড জ্যাজ সলো: অল ব্লুজ-চিক কোরেয়া
সেরা জ্যাজ ভোকাল অ্যালবাম: সিক্রেটস আর দ্য বেস্ট স্টোরিস-কার্ট এলিং ফিচারিং দানিলো পেরেজ
সেরা জ্যাজ ইনস্ট্রুমেন্টাল অ্যালবাম: ট্রিলজি টু-চিক কোরেয়া, ক্রিস্টিয়ান ম্যাকব্রাইড ও ব্রায়ান ব্লেড
সেরা লার্জ জ্যাজ অনসাম্বল অ্যালবাম: ডাটা লর্ডস-মারিয়া স্নাইডার অর্কেস্ট্রা
সেরা ল্যাটিন জ্যাজ অ্যালবাম: ফোর কোয়েশ্চনস-আরটারো ও’ফ্যারিল এবং দ্য আফ্রো ল্যাটিন জ্যাজ অর্কেস্ট্রা
সেরা গসপেল পারফরম্যান্স/সং: মুভিং অন-জনাথন ম্যাকরিনোল্ডস ও মালি মিউজিক
সেরা কনটেম্পোরারি ক্রিশ্চিয়ান মিউজিক পারফরম্যান্স/সং: দেয়ার ওয়াজ জেসাস (জ্যাক উইলিয়ামস ও ডলি পার্টন)
সেরা গসপেল অ্যালবাম: গসপেল অ্যাকর্ডিং টু পিজে-পিজে মর্টন
সেরা কনটেম্পোরারি ক্রিশ্চিয়ান মিউজিক অ্যালবাম: জেসাস ইজ কিং-কানইয়ে ওয়েস্ট
সেরা ল্যাটিন পপ অ্যালবাম/আরবান অ্যালবাম: ওয়াইএইচএলকিউএমডিএলজি-ব্যাড বানি
সেরা ল্যাটিন রক/অল্টারনেটিভ অ্যালবাম: লা কনকিস্তা দেল এসপাসিও-ফিতো পায়েজ
সেরা আমেরিকানা অ্যালবাম: ওয়ার্ল্ড অন দ্য গ্রাউন্ড-সারাহ ইয়ারোস
সেরা ব্লুগ্রাস অ্যালবাম: হোম-বিলি স্ট্রিংস
সেরা ট্রাডিশনাল ব্লুজ অ্যালবাম: রয়ার দ্যান র-ববি রাশ
সেরা কন্টেমপোরারি ব্লুজ অ্যালবাম: হ্যাভ ইউ লস্ট ইউর মাইন্ড ইয়েট?-ফ্যান্টাস্টিক নেগ্রিটো
সেরা ফোক অ্যালবাম: অল দ্য গুড টাইমস-জিলিয়ান ওয়েলশ ও ডেভিড রলিংস
সেরা র্যাগে অ্যালবাম: গট টু বি টাফ-টুটস অ্যান্ড দ্য মেটালস
সেরা গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম: টোয়াইস অ্যাজ টল-বার্না বয়
সেরা সংকলিত সাউন্ডট্র্যাক (ভিজ্যুয়াল মিডিয়া): জোজো র্যাবিট
সেরা আবহসংগীত সাউন্ডট্র্যাক (ভিজ্যুয়াল মিডিয়া): জোকার (হিলদোর গুদনাদত্তির)
সেরা গান (ভিজ্যুয়াল মিডিয়া): নো টাইম টু ডাই-নো টাইম টু ডাই (বিলি আইলিশ ও ফিনিয়াস ও’কনেল)
সেরা যন্ত্রসংগীত রচনা: স্পুটনিক-মারিয়া শ্নাইডার
সেরা অ্যারেঞ্জমেন্ট (যন্ত্রসংগীত/কাপেলা): ডনা লি-জন বিসলি
সেরা অ্যারেঞ্জমেন্ট (যন্ত্রসংগীত ও কণ্ঠ): হি ওন্ট হোল্ড ইউ-জ্যাকব কলিয়ার ফিচারিং র্যাপসোডি
সেরা ইঞ্জিনিয়ার্ড অ্যালবাম (নন-ক্লাসিক্যাল): হাইপারস্পেস-বেক
সেরা রিমিক্সড রেকর্ডিং: রোজেস-সেন্ট জন, ইমানবেক জেইকেনভ
সেরা ইঞ্জিনিয়ার্ড অ্যালবাম (ক্লাসিক্যাল): শোস্টাকোভিচ: সিম্ফনি নাম্বার থার্টিন, বাবি ইয়ার-ডেভিড ফ্রস্ট ও চার্লি পোস্ট
বর্ষসেরা প্রযোজক (ক্লাসিক্যাল): ডেভিড ফ্রস্ট
সেরা অপেরা রেকর্ডিং: গার্শউইন: পোর্জি অ্যান্ড বেস-ডেভিড রবার্টসন