‘গাঙ্গুবাঈ’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবেন আলিয়া!
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন আলিয়া ভাট। দারুণ সব চরিত্র বাছাই এবং সেগুলো পর্দায় ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার কারণে অনেক আগেই দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন আলিয়া ভাট। তার সাম্প্রতিক সংযোজন হলো ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’র গাঙ্গুবাঈ চরিত্রটি।
এস হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অব মুম্বাই’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’র চিত্রনাট্য। এটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয়লীলা বানসালি। আর এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন আলিয়া ভাট। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি।
এদিকে, আলিয়া ভাট এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও এখনও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তুলতে পারেননি। তবে গাঙ্গুবাঈ চরিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তুলবেন বলে মনে করেন আলিয়ার প্রেমিক রণবীর কাপুর।
২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো ছবিটির। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আটকে যায় সেটি। এরপর এ বছরের ৩০ জুলাই ছবিটির মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করলে সেটিও পিছিয়ে যায়।
কে ছিলেন এই গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি?
এস হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অব মুম্বাই’ থেকে জানা যায়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়িয়া (গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি) গুজরাত থেকে মুম্বাইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রেমে ধোঁকা খেতে হয়েছিল এই কিশোরীকে। বিয়ে করেও স্বামী তাকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাকে বারবার ধর্ষণ করে। তবুও হাল ছাড়েন না গাঙ্গুবাঈ। শেষমেষ করিম লালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গাঙ্গুবাঈ। তাকে নিজের বোনের সম্মান দেন করিম লালা। এরপরই কামাতিপুরায় একটি গণিকালয় শুরু করেন গাঙ্গুবাই।
এরপর সেই গাঙ্গুবাঈ হয়ে উঠেছিলেন সম্পূর্ণ কামাতিপুরার হর্তাকর্তা বিধাতা। কিন্তু জোড় করে যে সব মেয়েদের এই পেশায় ঠেলে দেওয়া হতো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন তিনি।