খুব অল্পসময়েই শ্রোতাদের মনে স্থান করে নিয়েছেন সংগীতশিল্পী ঐশি। পড়াশোনা ও সংগীতজীবন দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। যার ফলাফলও পেয়েছেন। গান গেয়ে দারুণ জনপ্রিয়তার পাশাপাশি পেয়েছেন নানা স্বীকৃতিও। অন্যদিকে সোমবার (১৮ অক্টোবর) জানালেন, পড়াশোনায়ও সাফল্য এসেছে তার। পূর্নাঙ্গ চিকিৎসক হিসেবে এমএইচ শমরিতা হসপিটাল অ্যান্ড মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন তিনি। দিনটি দারুণ আনন্দের ঐশির জন্য।
“এক কথায় স্বপ্নপূরণ-আমার সারাজীবনের কস্টের ফলাফল পেলাম গতকাল। দিনটি আমার জন্য এত আনন্দের। আমার বন্ধু-পরিবার এবং শিক্ষকদের প্রতি অপরিসীম কৃতজ্ঞতা।”-বুধবার (১৯ অক্টোবর) বার্তা ২৪.কমকে বললেন ঐশী।
পরীক্ষা পাশ শেষ, এবার শিক্ষানবীশ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। লক্ষ্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হওয়ার। কিন্তু দু’টো পেশা কেমন করে এগিয়ে নেবেন ঐশি?
তিনি বলেন, “ছয় বছর ধরে পড়াশোনার পাশাপাশিই গান করেছি। নিজেকেই শিখিয়েছি কী করে গানটাও পাশাপাশি করা যায়। তাই, আশা করছি সমস্যা হবে না।”
পরিবারের সাথেই দিনটি উদযাপন করেছেন ঐশী। তবে, ঐশীর দাবি তার দু’টো পরিবার। একটি বাবা-মার সঙ্গে আরেকটি গানবাংলা পরিবার। গানবাংলার ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ গান করে দেশব্যাপী দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ঐশী। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ঐশী এলেন তাই আনন্দ ভাগ করে নিতে। গানবাংলার চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী ও প্রধান নির্বাহী ফারজানা মুন্নীর স্নেহভাজন ঐশীর প্রত্যাশার বাইরে ছিলো তার সাফল্য উদযাপনের যে আয়োজন সেখানে আগেই করা ছিলো। চিকিৎসক এর পোশাকে ঐশীর ছবি সমৃদ্ধ কেক আর মিস্টান্ন দিয়ে উদযাপন করা হলো তার নতুন যাত্রা।
ঐশী বলেন, “আমার জন্য অপ্রত্যাশিত ছিলো এমন আয়োজন। আমি দারুণ আনন্দিত আমার গানবাংলা পরিবারের সাথে ক্ষণটি ভাগ করে নিতে পারলাম। প্রিয় তাপস ভাই ও মুন্নী ভাবির প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা তারা যে আমার দিনটিকে এমন রঙিন করে দিলেন।”
সংগীত শিল্পী ঐশীর ২০১৫ সালে ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ অ্যালবামের মধ্য দিয়ে সংগীতে যাত্রা শুরু হয় তার। অ্যালবামের গান গাওয়ার পাশাপাশি মঞ্চ পরিবেশনাতেও তিনি প্রশংসিত। ২০২০ সালে ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমায় ‘মায়া, মায়া রে…’ গানটি গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তরুণ এই সংগীত তারকা।