যেভাবে পুরনোকে বিদায় ও নতুনকে স্বাগত জানালেন পূর্ণিমা
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা । ছবি: ফেসবুক
বিনোদন
চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকার সময়ই নিয়মিত অভিনয়ে অনিয়মিত হয়েছেন। এখন নানা ধরনের ব্র্যান্ড প্রমোশনের কাজ নিয়েই ব্যস্ততা তার। বছরখানেক হলো নতুন করে সংসারী হয়েছেন তিনি। তার হাতে মুক্তির অপেক্ষায় আছে বেশ কয়েকটি সিনেমা।
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা । ছবি: ফেসবুক
এদিকে নতুন বছর শেষ হতে আরো প্রায় সপ্তাহখানেকের বেশি সময় আছে। তার আগেই পুরনো বছরকে বিদায় জানালেন এই অভিনেত্রী। স্বাগত জানালেন নতুন বছরকে। আজ তিনি ফেসবুকে পেজে তিনটি ছবি যুক্ত করে লেখেন, ‘প্রিয় অতীত, সব শিক্ষার জন্য ধন্যবাদ, প্রিয় ভবিষ্যৎ, আমি প্রস্তুত’। সঙ্গে ‘গুডবাই ২০২৪’ ও ‘গুডবাই ডিসেম্বর’ লিখে হ্যাশট্যাগ দেন।
বিজ্ঞাপন
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা । ছবি: ফেসবুক
দুপুরের দেওয়া সেই পোস্টের নিচে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। জানিয়েছেন নানা রকম শুভ কামনা। চার ঘণ্টায় সেই ছবিতে এসেছে দুই হাজারের বেশি মন্তব্য।
জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক ও অনুষ্ঠান নির্মাতা পুনম প্রিয়ম শোবিজ আর শোবিজের বাইরের কিছু সফল নারীকে নিয়ে ২০২২ সালে একটি গ্রুপ তৈরি করেন। যার নাম ‘গ্রেসফুল টিম’। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও এই টিম প্রতিবছর অন্তত একবার মিলিত হন। কারণ টিম মেম্বারদের দেওয়া হয় বিশেষ সম্মাননা, যার নাম ‘গ্রেসফুল টিম অ্যাওয়ার্ড’।
পুনম সম্প্রতি তার ফেসবুকে ২০২৫-এ এই পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। আমার বিশ্বাস আমরা তা পারব। আপনি যদি আপনার জীবন নামক সিনেমার প্রধান নায়িকা হতে চান, তাহলে আপনাকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা সমাজের কাছ থেকে আপনি এতকাল নিজের সম্পর্কে যা যা শুনে এসেছেন তার বিরোধী মনে হবে। নারীর এই ক্ষমতায়ন হয়তো বাবা-মা, বন্ধু কিংবা আশপাশের মানুষের কাছ থেকে নাও আসতে পারে। এটা আসতে হবে একান্তই নিজের ভেতর থেকে। কারণ নারী তুমি সহজাতভাবেই গ্রেসফুল।’
পুনম প্রিয়ম আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে নারী কুড়িতেই বুড়ি, আর পঞ্চাশের পর তো তার স্বাদ আহ্লাদ বলে কিছু থাকতেই পারে না। কিছু আসলে কি তাই? পঞ্চাশের পরও এখন নারীরা অনেক কিছু করতে পারে। কিছু না করুক, অন্তত মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা না করে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারে বা নিজের ভালো থাকার বিষয়টি খুঁজে নিতে পারে। তাই প্রতিবছর পঞ্চাশোর্ধ্ব কয়েকজন নারীকে তুলে দিয়ে থাকি গ্রেসফুল টিম অ্যাওয়ার্ড। এই পদক তাদের আরও তারুণ্যদীপ্ত করে মানসিকভাবে।’
এবারের বইমেলায় জাগতিক প্রকাশন থেকে এসেছে কবি জাকিয়া রহমানের দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নের আঙিনা’ ও ‘নীলাম্বরীর ছায়ে’। এছাড়াও তার প্রথম যৌথ কাব্যগ্রন্থ ‘ভাবনায় রক্তকাঞ্চন’ আসবে অচিরেই।
কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নের আঙিনা’ নিয়ে কবি জাকিয়া রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘আশা‘ই মানব জীবনের চালক আর সেটা স্বপ্ন থেকে উদ্বুদ্ধ। স্বপ্ন ভেঙে যায় তবুও মানুষ স্বপ্ন দেখে। এমনি হাজার হাজার স্বপ্ন মানুষের মানস-আঙিনায় জন্মায় আর উধাও হয়ে যায়। কোন কোন স্বপ্ন আশার সীবন মনে গভীরভাবে খচিত করে দেয় অনুভব। সে অনুভূতি মনের মাঝে অনুবিদ্ধ হয়ে রয় চিরকাল। স্বপ্ন আশার বৃক্ষ অনেকের জীবনে শাখার পল্লবে ভরে ওঠে তবুও মানুষের জীবনে কিছু না পাওয়ার বা হারানোর ব্যথা পূর্ণ প্রাপ্তি ফল কখনোই ফলায় না। এই সব দর্শনকে কেন্দ্র করে কিছু অনুভবের কবিতার আলাপন এই কাব্য গ্রন্থে সমাবেশিত হয়েছে।’’
ছড়া ও কবিতার বই ‘নীলাম্বরীর ছায়ে’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বইটি কিশোর ও নবীন-তরুণদের জন্য রচিত হলেও আমরাও এ দলে যোগদান করতে পারি। বইটি কিশোর ও তরুণদের জন্যে শিক্ষামূলক। কোন ভূত কি আগড়ুম বাগরুম ছড়া নয়। সব পঙক্তিতেই রয়েছে কিছু শেখার জানার। আমার প্রয়াস একটি বিবেকবান পূর্ণাঙ্গ মানুষ সৃষ্টি। বইটিতে ছড়া /কবিতাগুলি চারটি পর্বে বিভক্ত- ১. মজার ছড়া, ২. সামাজিক চেতনা, ৩. মানবাধিকার, ৪. পরিবেশ সচেতনতা ও ৫. বিজ্ঞান।’
জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী ও নাট্য নির্মাতা নাজমুল হক বাপ্পি একক চিত্র প্রদর্শনীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশে ২০১৭ সালে তিনি সবশেষ একক প্রদর্শনী করেছিলেন। তবে এরমধ্যে তিনি ইতালি এবং লন্ডনে তার দশম ও একাদশ প্রদর্শনী করেন।
শিল্পী বাপ্পি বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রদর্শনী কোন গ্যালারিতে এবং কবে হবে তা তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানাবেন।’
কয়েক বছর ধরে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকার। শিল্পীর কাজের বিষয়বস্তু মানুষ এবং প্রকৃতি। এ পর্যন্ত তার চিত্রায়িত অসংখ্য চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে দেশে এবং দেশের বাহিরে। সেই সাথে মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়ে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও, পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা।
আঁকায় ব্যস্ত চিত্রশিল্পী বাপ্পি
অতি সম্প্রতি ‘শান্তি ও সম্প্রীতির সন্ধান’ শীর্ষক ‘দশম প্রাচ্য-চিত্রকলা প্রদর্শনী ২০২৫’-এ গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চিত্রশিল্পী বাপ্পী। অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টস এবং ওরিয়েন্টাল পেইন্টিং স্টাডি গ্রপ (ওপিএসজি)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই শিল্পায়োজন শেষ হয়েছে গত ৩০ জানুয়ারি।
উন্মুক্ত আহ্বানের মাধ্যমে জামা পড়া কয়েকশত শিল্পকর্ম থেকে নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে শিল্পীদের কাজ নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের কাজে বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য, দরবারি আভিজাত্য এবং আধুনিক প্রাচ্যচিত্রের বহুমাত্রিক রূপের সমাহার ঘটেছে। মোট ৫৪ শিল্পীর শিল্পের সমাহারে সেজেছিল এই শিল্পায়োজন। খ্যাতিমান শিল্পীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানবিশ তরুণ শিল্পীসহ গুণী লোকশিল্পীদের শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।
‘দশম প্রাচ্য-চিত্রকলা প্রদর্শনী ২০২৫’-এ গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন চিত্রশিল্পী বাপ্পী
নাট্যনির্মাতা ও চিত্রশিল্পী নাজমুল হক বাপ্পি প্রতিনিয়ত সময়ের চিহ্ন খুঁজে বেড়ান। তার ছবিতে ফুটে ওঠে চলমান জীবনে চিত্র । সেসব ছবি ইতিহাস বদলায়, কিছু মানুষকে স্বপ্ন দেখায়, আর কিছু মানুষকে বাকরুদ্ধ করে। চিত্রশিল্পে তার পদচারণা ব্যাপক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের চিত্রশিল্পের প্রদর্শনী ও বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন তার পথ চলা আরো ত্বরান্বিত করেছে। চাইনিজ প্রিন্টিং এর পাশাপাশি প্রকৃতিপ্রেমী এই চিত্রশিল্পীর ভাবনা জুড়ে সবসময় স্থান পেয়েছে দেশের মাটির গন্ধ, সবুজের স্নিগ্ধতা, আবার কখনো পাহাড় কিংবা সমুদ্র।
ঈদের নাটকের শুটিংয়ের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে। এরইমধ্যে জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী শেষ করে ফেলেছেন একটি নাটকের শুটিং। ‘কোনো একদিন’ নামের এই নাটকের চমক হলো- তিনি তিন প্রজন্মের তিন জন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীকে একসঙ্গে হাজির করতে যাচ্ছেন।
তারা হলেন আফজাল হোসেন, সাদিয়া ইসলাম মৌ এবং সৌম্যজ্যোতি। নাটকের কিছু ছবি পোস্ট করে আজ মঙ্গলবার চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘অবশেষে শেষ হলো রঙ্গন মিউজিক প্রযোজিত ফারিয়া হোসেনের লেখা আমার পছন্দের একটি কাজ ‘কোনো একদিন’। আফজাল হোসেন ভাই আর সাদিয়া ইসলাম মৌ আপনারাই আসল নক্ষত্র। অনেক কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ। একজন আফজাল হোসেন কত বড় মাপের মানবিক মানুষ! যত কাজ করছি আরো মুগ্ধ হচ্ছি। মৌয়ের কল টাইম মিস হয় না কেন? কী আজব? কল টাইমের আগেই আসতে হবে?’’
‘কোনো একদিন’ নাটকের দৃশ্যে আফজাল হোসেন ও সাদিয়া ইসলাম মৌ
চয়নিকা আরও লিখেছেন, ‘‘সৌম্য’র সাথে প্রথম কাজ। বাপরে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় সেটে হাজির। শেষ দিন এলো ৭টা ৪০ মিনিটে। খুব ভালো লাগলো সোম্য, এত ভালো অভিনয়শিল্পী তুমি! আমি জানি এমন ক্লাসিক চরিত্র তোমার জন্যে এই প্রথম। কিন্ত তুমি অডিয়েন্স কাঁদাবে বলে দিলাম। তবে ১০০% তুমি পরিচালকের শিল্পী। তোমার মা বাবাকে ধন্যবাদ। আরেকজন হচ্ছে তন্নি মাহমিদ তৃণা, খুব চুপচাপ, অন টাইমে সেটে আসা, স্ক্রিপ্ট পড়ে আসা, সিনিয়রদের কথা শোনা, কোন পেইন পাইনি। তুমি চেষ্টা করো অনেক দূর যেতে পারবে। অনেক কৃতজ্ঞতা শাহীন আপু আর জামাল ভাই। তোমাদের সাথে আরো অনেক কাজ করতে চাই। কারণ, তোমরা ভালো ভালো সৃজনশীল কাজ করতে চাও আর সম্মানিত কর একজন পরিচালককে। তোমাদের ইচ্ছাটা পূর্ণ করতে পেরে আমারও ভালো লাগলো। ফারিয়া তুমি থাকাতে চারপাশ আলোকিত ছিল। সব্বাইকে ধন্যবাদ। আসছে ঈদে দেখা হবে।’‘