৭০ দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
উৎসব সমন্বয়ক আহমেদ মুজতবা জামাল অনুষ্ঠিতব্য এ উৎসবের নিয়মিত নতুন তথ্যগুলো প্রকাশ করছেন। তিনি জানান, এবারের উৎসবে এশিয়ান কমপিটিশনে প্রতিযোগিতা করবে ২১টি চলচ্চিত্র। এই শাখায় বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর ‘মায়ার জঞ্জাল’ চলচ্চিত্রটি অংশ নিচ্ছে। সিনেমা অব ওয়ার্ল্ড শাখায় দেখানো হবে ৪৬টি সিনেমা।
এই শাখায় বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতা করবে গোলাম মুস্তাফার ‘আ ফাদারস ডায়েরি’ ও আবিদ হুসাইন খানের ‘ডিজেপিয়ারিং প্রফেশন’।
উইমেন ফিল্ম মেকার সেকশনে অংশ নেবে ২৫টি সিনেমা। এ ছাড়া স্পিরিচুয়াল শাখায় ২৯টি, চিলড্রেন শাখায় ১৮টি, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট শাখায় ৬০টি সিনেমা দেখানো হবে। এ বছর নতুন শাখা ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে দেখানো হবে বাংলাদেশের পরিচালক শাহীন দিল রিয়াজের ৬টি সিনেমা। বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে বাংলাদেশ প্যানারোমা শাখায় ৯টি সিনেমা দেখানো হবে।
এ শাখায় নূরুল আলম আতিক পরিচালিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও সাইদুল আনাম টুটুলের ‘কালবেলা’ চলচ্চিত্রটি দেখানো হবে।
উৎসবের সিনেমাগুলো জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, মধুমিতা সিনেমা হল এবং বসুন্ধরা সিটি ও সীমান্ত স্কয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখা যাবে।
উৎসবের আগের আসরটি চলতি বছরের জানুয়ারিতে করোনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়। ৯ দিনব্যাপী সেই উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশের ২২৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। গত বছর সেরা সিনেমা হয় কাজাখস্তানের ‘দ্য রোড টু দ্য ইডেন’।
আহমদ মুজতবা জামাল জানান, করোনা মহামারি পেরিয়ে নতুন উদ্যমে উৎসব প্রস্তুতি চললেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নতনু শংকা জাগাচ্ছে উৎসব আয়োজনে। এছাড়া অর্থনৈতিক সংকট এখনও কাটেনি উৎসব আয়োজনের।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে উৎসবটি শুরু হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি, চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।