বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২৯ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘ক্রিকেট সেলিব্রেটস মুজিব হান্ড্রেড’ শীর্ষক কনসার্টের আয়োজক করা হয়েছিলো। যেখানে পারফর্ম করেছিলেন প্রখ্যাত সংগীত তারকা এ আর রহমান।
এ আর রহমানের পারফর্ম নিয়ে শ্রোতা ও দর্শকরা খুশি হলেও, নারাজ হয়েছে অনেকেই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের শিল্পীদের রেখে কেনো অন্য দেশের শিল্পীদের আনতে হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। প্রকাশ করেছে ক্ষোভও। আর সেই দলেরই একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
বুধবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট শেয়ার করেছেন আসিফ আকবর। যেখানে তিনি লিখেছেন, “কথা প্যাঁচিয়ে বলার অভ্যাসটা সলিডভাবে রপ্ত করতে পারিনি, তাই সরাসরিই লিখে জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আমার মত অধম এক গায়ককে জন্ম দিয়েছে। আমার প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক অনেক অনেক বেশী, আলহামদুলিল্লাহ। কোটি মানুষের ভীড়ে নিজেকে এভাবে দেখবো কখনো কল্পনাও করিনি। তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ হে জন্মভূমি- আমার প্রানের বাংলাদেশ।”
“একুশ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ষোল বছর এদেশে ওপেন এয়ার কনসার্ট করতে পারি না। অনুমতি নিতে নিতে উপযোগীতা ফুরিয়ে গেছে, পারছি না মনকে বোঝাতে, অপমানিত হতে চাই না আর। প্রতিদিন শো নিয়ে কথা বলা মানুষদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছি অলরেডি। অনেক আলাপ হয়, শো আর হয় না। আমি আমার দল- দি এ টিম এর সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা চৌদ্দ বছর আশায় বুক বেঁধে আছে ভাইয়ার শো আবার একদিন শুরু হবে ভেবে। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাই বয়’জ, আমি বুঝতে দেরি করে ফেলেছি। এদেশে কোন ধরনের মঞ্চেই আপাতত গান গাওয়া হবেনা আমার, তোমরাও মুক্ত হয়ে যাও শপথ থেকে। পাসপোর্ট প্রাপ্তি এবং সহি ইমিগ্রেশন ফর্মালিটিজ সম্পন্ন সাপেক্ষে দেশের বাইরে গান গাওয়ার কিছুটা সুযোগের আশঙ্কা এখনো টিমটিম করে জ্বলছে। যদি এটাও না হয় - তাহলে আমি নিজেকে কুইট করে নিলাম, কারো বিরক্তির কোন কারণ হতে চাইনা।”
যোগ করে তিনি আরও লিখেছেন, “মাইক্রোফোন আমার ড্রাগ, দর্শক শ্রোতা আমার আসল শক্তি, বেঁচে থাকার সুতীব্র আকর্ষণ। এগুলো অবশ্য অনেকদিন ধরে শুধুই গল্প। সব আশার আলো ঘৃনার বাষ্পে উড়ে গেছে। শুধুমাত্র রেকর্ডিং করে যাবো নিজের মত, ব্যস্ত থাকবো নিজেকে নিয়ে। পেশাদার শো কিংবা রেডিও টিভি পত্রিকা পারিবারিক আড্ডা সামাজিক অনুষ্ঠানে আর এক লাইন গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করে কেউ বিব্রত হবেন না, আমার কাছ থেকেও না শোনার জন্য অপেক্ষা করবেন না দয়া করে। আপনাদের ভালবাসার কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ আমি, আমৃত্যু এই প্রাপ্ত সম্মানকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করবো। যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ্য থাকি, মনে শান্তি পাই, পরিবেশ ফিরে আসে - আবার ফিরবো আগুনের মত উত্তাপ নিয়ে ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন সুন্দর থাকুন।”