প্রায় চার বছর পর মুক্তি পেয়েছে আমির খানের ছবি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারছে না তার ‘লাল সিং চাড্ডা’। প্রায় চার বছর পর এল আমিরের নতুন ছবি। তাও আবার হলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর রিমেক। হলিউডের সিনেমাটা অস্কার পেয়েছিল। সেখানে হিন্দি সিনেমাটা খারাপ হতে পারে নাকি! আর তারপর গোটা দেশ পেয়েছিল তিন দিনের লম্বা ছুটি। টিকিট বিক্রি নিয়েও অনেক প্রত্যাশা ছিল ছবির পরিবেশকদের। কিন্তু এর পরও মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি।
চার দিনে আমির-করিনার এই সিনেমা আয় করেছে মাত্র ৩৭-৩৮ কোটি টাকা। যেখানে তিন মাস আগে প্রথম ৩ দিনে ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ আয় করেছিল ৫৫ কোটি। ফিল্ম অ্যানালিসিস্টদের আশঙ্কা এই ছবিও পেরোতে পারবে না ১০০ কোটির ঘর (দেশের হিসেবে)। আর এতেই বেজায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে সিনেমার পরিবেশকদের। শোনা যাচ্ছে তারা ছবির নির্মাতা ভায়াকম ১৮-র কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে।
ভায়াকম ১৮-র সিইও অজিত আন্ধ্রে এই প্রসঙ্গে জানান, ‘কোনও বাইরের পরিবেশক নেই। ভায়াকম নিজেই পরিবেশকের কাজে করেছে। আর আপাতত প্রাথমিক ভাবে কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়নি। সিনেমা বক্স অফিসে চলছে দেশে আর দেশের বাইরেও। এইসব ভিত্তিহীন খবরের কোনও মানেই হয় না।’ বেশিরভাগ বড় প্রযোজনা সংস্থা আর স্টুডিয়োর আসলে নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক থাকে। বেশিরভাগ জায়গায় তারা সেই কাজ নিজেরাই করে থাকে। শুধু কিছু ছোট শহরে সাব-ডিসট্রিবিউটরদের দেওয়া হয় কমিশনের ভিত্তিতে। এই একই মডেলে কাজ চলেছে লাল সিং চাড্ডারও।
অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত লাল সিং চাড্ডা-তে করিনা-আমির ছাড়াও রয়েছেন করিনা কাপুর, মোনা সিং ও নাগা চৈতন্য। চলচ্চিত্র সমালোচকদের থেকেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এই সিনেমা। যেখানে অভিনয় ও চিত্রনাট্যের মানের সমালোচনা বিশেষভাবে করেছেন অনেকেই। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা বড় অংশ ছবিখানা বয়কটের ডাক দিয়েছিল। সব মিলিয়ে কপাল খারাপ আমিরের।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমির খানের ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’। সেই ছবিও দর্শক মনে সেভাবে জায়গা করতে পারেনি। তবে তা সত্ত্বেও সিনেমাটা প্রথম তিন দিনে দেশে আয় করেছিল ১০০ কোটি। আর প্রথম সপ্তাহে ১২৩ কোটি। তারপর খারাপ রিভিউ ও দর্শকদের সমালোচনার কারণে ব্যবসা পড়তে থাকে। এবং তা গিয়ে থেমেছিল ১৫১ কোটিতে। তবে বোঝা যাচ্ছে লাল সিং-এর ক্ষেত্রে তেমনটা হল না। প্রথম থেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিল দর্শক।