সম্প্রতি আলোচিত চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের দায়ে বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন নায়িকা।
বুবলীর অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত অভিনেতা সুরুজ বাঙ্গালিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। শুধু তাকেই নয়, মৌ সুলতানা নামে একজন নারী কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকেও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কাউন্টার টেরিরিজমের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে।
জানা যায়, প্রথম দফায় আইনের আওতায় অভিনেতা আনা সুরুজ বাঙালি এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর মৌকে সতর্ক করা হয়েছে। ভুল বুঝতে পেরে তারা ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়াবেন না বলেও কথা দিয়েছেন।
সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোস্টিং এর নামে সংস্কৃতি কর্মীদের টার্গেট করে অনবরত বুলিং করছেন এবং কুৎসা রটনা করে চলেছেন। অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।
বুবলীর ঘটনায় দুজনকে আইনের আওতায় আনার বিষয়টি উল্লেখ করে কাউন্টার টেরিরিজমের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন থেকে বলা হয়, সাইবার স্পেসে যে কাউকে হেয় করা অপরাধ ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সংস্কৃতি কর্মী বা সাধারণ ভিক্টিম সবার জন্য আমাদের সাইবার সেবা উম্মুক্ত থাকবে।
২৪ এপ্রিল রাজধানীর ভাটারা থানায় জিডি করেন বুবলী। সেখানে দেখা যায়, ‘প্রতিদিনের চিত্র’, ‘জমশেদ ভাই’, ‘মৌ সুলতানা’, ‘সনি কমিনিকেশ’, ‘এসকে উজ্জল’, সোনিয়া শিমু’, ‘ফেরদৌস কবির’, ‘আবুল হোসাইন তুফান, ‘শাহিনুর আক্তার’, ‘জাহিদুল ইসলাস আপন’সহ ১৫-২০টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন এই নায়িকা।
শুধু বুবলী নয়, গতকাল (৯ মে) একই অভিযোগ নিয়ে বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন অপু বিশ্বাসও।