শুধু বিনোদন নয়, অনুপ্রেরণা ও সমাজের বিভিন্ন দিক নিজের অভিনীত ছবির মধ্যে তুলে ধরেন অক্ষয় কুমার। বলিউডের এই তারকার ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ছবিটির কথাই ধরে নেওয়া যাক। যার মাধ্যমে সকলকে শৌচালয় ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন তিনি।
পরে ২০১৮ সালে মুক্তি পায় অক্ষয়ের অভিনীত ‘প্যাডম্যান’। এই ছবির মধ্য দিয়ে নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার।
অক্ষয় কুমারের পরবর্তী মিশন হচ্ছে ‘মিশন মঙ্গল’। যার মাধ্যমে নারী বিজ্ঞানীদের অর্জনের গল্প তুলে ধরবেন তিনি। ২০১৩ সালে ভারতের ‘মঙ্গলযান’ মিশনের উপর ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছে ছবিটি। গত ৮ জুলাই ইউটিউবে প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির টিজার।
‘মিশন মঙ্গল’-এ অক্ষয় কুমারকে দেখা যাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) সিনিয়র বিজ্ঞানী রাকেশের চরিত্রে। যিনি মার্স অরবিটার মিশন (মম) কাজ করেছেন।
‘মঙ্গল মিশন’-এ অভিনয় প্রসঙ্গে অক্ষয় কুমার বলেন- ‘এ ধরনের ছবি যখন আমার কাছে আসে খুব অনুপ্রাণিত হই। বাস্তব ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অসাধারন একটি গল্প তৈরি করা হয়েছে।’
যোগ করে অক্ষয় আরও বলেন- “অনেকেই জানে নাসা ৬ হাজার কোটি রুপির একটি স্ট্যাটেলাইট মঙ্গলে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ইসরো সেটি সাড়ে ৪শ’ কোটিতে করে দেখিয়েছে। একবার শুধু পার্থক্যটা দেখুন... একটু সাধারণ জ্ঞানের জন্য আমরা কতো কোটি রুপি সঞ্চয় করতে পেরেছি। কিন্তু আপনারা কী এই গল্প বিশ্বাস করবেন যা এখনও বলা হয়নি? আমি আপনাদের সেই গল্পই বলতে চাই। আর এ কারণেই ছবিটিতে আমার অভিনয় করা।”
সকল নারী বিজ্ঞানীদের জয়গান গেয়ে অক্ষয় বলেন- “ইসরো’তে ১৭ থেকে ১৮ হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানী কাজ করেন। তাদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন নারী বিজ্ঞানীর গল্প শুনেছি আমি। সেই সঙ্গে এই ভেবে অবাক হয়েছি যে, তারা কিভাবে কাজ ও ঘর একসঙ্গে সামাল দেন। তারা সত্যিই মহৎ। ‘মিশন মঙ্গল’-এ ইসরো’র পাঁচজন নারী বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালন, তাপসী পান্নু, সোনাক্ষী সিনহা, কৃতি কুলহারি ও নিত্যিয়া মেনন। আমি বলতে চাই এই ছবিটি শুধু তাদের জন্যই।”
দক্ষিণী পরিচালক জগন শক্তি পরিচালিত ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ১৫ আগস্ট। একইদিন মুক্তি পাবে জন আব্রাহামের ‘বাটলা হাউস’ এবং শ্রদ্ধা-প্রভাসের ‘সাহো’।