সেই ২০১০ সালের ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিনে ‘আয় আমন্ত্রণ’ অ্যালবামটি প্রকাশ পাওয়ার পর এতোদিন নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার কাজ সেরেছেন দলছুটের বর্তমান সদস্যরা।
দলছুটের অ্যালবামের জন্য অনেক সময় দরকার। কারণ, দলছুট কখনও নিজস্বতা থেকে সরে দাঁড়াবে না। সঞ্জীব চৌধুরী দলছুটের গানে ভিন্ন এক মাত্রা যুক্ত করেছিলেন। আমরা যারা ব্যান্ড সদস্য, তারাও চেষ্টা করেছি গানগুলো ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করার। সেটা অব্যাহত রাখতে চাই।
দলছুট থেমে গেছে, এমন কথাও শুনতে হয়েছে বাপ্পাকে। তিনি জবাবও দিয়েছেন সেটার।
বলেছেন-
দলছুট আছে, দলছুট থাকবে। দলছুট আমার কাছে অনেক আবেগের জায়গা। সঞ্জীব দা’ও তাই। যারা আমার কাছের মানুষ, তারা বিষয়টি জানেন। শুধু শুধু সমালোচনা করে লাভ নেই।
যদিও বাপ্পা বলেছেন-
ভক্তদের আমরা বলিনি যে, দলছুটের অ্যালবাম কখনও প্রকাশ করবো না। করবো, কিন্তু তার জন্য আমাদেরও কিছুটা সময় দিতে হবে।
বাপ্পা মজুমদার বলছেন-
অবশেষে দলছুটের কাজ শুরু করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। দীর্ঘ সময় ধরে অনেকগুলো কথা ও সুর থেকে বাছাই করে সেরা গানগুলো অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত করছি। আমাদের নিজস্ব একটা ঢং আছে। সে আঙ্গিকেই গানগুলো সাজাচ্ছি। কথা-সুরে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি। সংগীতায়োজনেও সবাই নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছেন। আমরা চাই গানগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে যাক।
এ বছরের কোনো এক সময় দলছুটের এই বহুল প্রতীক্ষিত অ্যালবামটি শুনে ফেলতে পারবে শ্রোতারা।
দলছুটের অ্যালবাম তালিকা:
প্রসঙ্গত, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে আড্ডা-গানের পসরা বসাতেন সঞ্জীব চৌধুরী। সেখানেই তার সঙ্গে বাপ্পা মজুমদারের পরিচয় করিয়ে দেন গায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, নব্বই দশকের শুরুর দিককার কোনো একদিন।
সেই পরিচয় থেকেই ক্রমশ হৃদ্যতা।
দলছুট যখন গঠিত হয় সঞ্জীব ও বাপ্পা মিলে, তখন ১৯৯৬ এর নভেম্বর।
আরও একটি নভেম্বর যখন আসে ২০০৭-এ, সব্যসাচী সঞ্জীব চৌধুরী চলে যান এমন নির্জনে, যেখান থেকে কেউ কোনোদিন ফেরে না।