নব-বিবাহিত দম্পতি নাঈম-নাবিলা নেপালে যায় হানিমুন করতে। তাদের দেখভালের জন্য পিএস মিশুকেও সঙ্গে পাঠায় নাবিলার বাবা। যাত্রার শুরু থেকে মিশু তাদের সঙ্গে আঠার মত লেগে থাকে। কিছুতেই আলাদা হতে দেয় না তাদেরকে। বিশেষ করে নাবিলাকে সে একটু বেশি আগলে রাখার চেষ্টা করে। নানা কৌশলে নাবিলাকে নাঈমের কাছ থেকে সরিয়ে রাখে। তারা দু’জন কাছাকাছি হলেই কোন না কোন এক ছুঁতোয় তাদের মাঝখানে এসে হাজির হয় মিশু। এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়ও বারবার তাদের রুমে এসে নক করে।
হোটেলে ভৌতিক কিছু আছে বলে তাদের সঙ্গে একই রুমে থাকে সে। এসব নিয়ে ভীষণ বিরক্ত নাঈম। বিষয়টা কোনভাবেই মেনে নিতে পারে না সে। আসলে মিশুর সঙ্গে নাবিলার প্রেম ছিলো। পারিবারিক চাপে নাঈমকে বিয়ে করে নাবিলা।
কিন্তু মিশু তার পিছু ছাড়ে না। কৌশলে পিএস সেজে তাদের সঙ্গে নেপালে যায় সে। সেখানে গিয়ে নাঈমকে ফেলে তারা দু’জন পালিয়ে যাবে-এমন পরিকল্পনা করে। কিন্তু নাঈমের ভালোবাসার মায়ায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে নাবিলা। তার মানবিক গুনাবলী তাকে আকৃষ্ট করে। তাই নাঈমের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয় সে। নাঈমকে সব কিছু খুলে বলে। বাস্তবতা মেনে নিয়ে নাঈমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে মিশু।
এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক ‘ফানিমুন’।
গোলাম সারওয়ার অনিকের রচনায় ‘ফানিমুন’পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান জনি। এতে অভিনয় করেছেন নাঈম, নাবিলা ইসলাম, মিশু সাব্বির প্রমুখ। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি।