আরও একটি ২৪ জুলাই, আবারও ক্ষতয় আঘাত।
নবমিতার সঙ্গে বিয়ের সূত্রে উত্তম কুমারের নাতজামাই হন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
মহানায়ককে দেখেননি তিনি।
কিন্তু তার সম্পর্কে প্রচুর ঘটনা শুনেছেন পরিবারের বড়দের মুখে।
সেইসব ঘটনার মধ্যে থেকে কিছু ঘটনা শেয়ার করেছেন ভাস্বর।
উত্তম কুমার রোজ সকালে ভবানীপুরের বাড়িতে আসতেন তার মাকে প্রণাম করার জন্য, কাজে বেরুনোর আগে। একদিন এসে শুনেছেন যে লুচি তৈরি হচ্ছে, গন্ধ পেয়েছেন; একেবারে চারতলায় উঠে গিয়েছেন সোজা। গিয়ে বলেছেন, ‘দাও তো দুটো লুচি, খেয়ে তবেই শুটিংয়ে যাই!’
বুশ শার্ট-প্যান্টেই বেশি ছবি দেখা যায় মহানায়কের। তবে ধুতি পাঞ্জাবিতে তাকে দেখতে রাজপুত্তুরের মতো লাগতো বলে ধারণা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের। উত্তম কুমার কমফোর্টেবল ছিলেন বাঙালি পোষাকে। যেসব অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছেন, প্রায় সব জায়গাতেই ধুতি/পাজামা-পাঞ্জাবি এবং গায়ে একটা শাল দেখা গেছে তার।
প্রত্যেকদিন সকালে তো তার মাকে প্রণাম করতে আসতেনই, কাজে বেরুনোর সময়; এছাড়া আরেকটা গল্পও বলেছেন নাতজামাই। তখন উত্তম কেবল নাম করতে শুরু করেছেন। ওই সময়টাতে একদিন বাড়ির টাইলস চেঞ্জ করতে বলে গেছেন মিস্ত্রিদের। সেদিন শুটিং থেকে ফিরে এসে মহানায়ক দেখেন যে, তার নিজের ঘরের টাইলসটা ঠিকঠাক লাগানো হয়েছে কিন্তু মায়ের ঘরের টাইলস ঠিকঠাক লাগানো হয়নি। উনি তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে চলে যান ধর্মতলায়। টাইলসের দোকান থেকে মিস্ত্রি নিয়ে এসে সারারাত ধরে চেঞ্জ করে ফেলেন মায়ের ঘরের টাইলস। কারণ একটাই, তারটা আর মায়েরটা কেনো একরকম হলো না!
আরও পড়ুনঃ