রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ষষ্ঠবারের মতো (৭ মার্চ) দুপুর ১টায় শুরু হয়েছে জয় বাংলা কনসার্ট। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর আয়োজনে এবারের কনসার্টে পারফর্ম করবে দেশের জনপ্রিয় ৯টি ব্যান্ডদল।
দুপুর ১টার কিছু সময় পর ব্যান্ডদল ইনট্রোয়িট মঞ্চে উঠার আগে জাতীয় সংগীত ও ‘জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো’ গান দিয়ে শুরু হয় এবাবের জয় বাংলা কনসার্ট।
তবে সকাল ১১টা আর্মি স্টেডিয়ামের ৯টি গেইট কনসার্টের জন্য খুলে দেওয়া হলেও দুপুর পর্যন্ত আর্মি স্টেডিয়ামে তেমন কোনো ভিড় দেখা যায়নি। তবে বিকেল হতেই আর্মি স্টেডিয়ামে ভিড় করতে শুরু করেন সংগীত প্রেমীরা।
তেমনি একজন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আবু সাদী মোহাম্মদ শীতল। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রতি বছরই জয় বাংলা কনসার্টে আসি। এবারের আয়োজনের ব্যান্ডদলের লাইন আপ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ ছিলো তবুও আসলাম। বিকেলে আসার কারণ দুপুরে প্রচন্ড রোদ ছিলো, তাই রোদ একটু কমে যাওয়ার পরই ঢুকলাম।
এদিকে এবারের কনসার্টের কড়াকড়ি নিয়ে বেশ আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন দর্শকরা। তেমনি একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান লিমন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অনলাইনে কাটা টিকিটের বারকোড স্ক্যান করা হচ্ছে প্রবেশ পথে। মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জানি এগুলো সব করা হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু এসব কাজ করতে রোদের মধ্যে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানো লাগছে, যা সত্যি বিরক্তিকর।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল ৫টার পর কোনো দর্শক আর কনসার্টে প্রবেশ করতে পারবেন না। দুপুরে কনসার্টে অংশ নিয়েছে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল এফ মাইনর ব্যান্ড, মিনার রহমান, এভোয়েড রাফা, শূন্য, ভাইকিং, লালন, আরবোভাইরাস। এরপর ৫টা ৫০মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা ৭ মার্চের ভাষণ। সন্ধ্যার পর মঞ্চ মাতাতে থাকছে ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ড ও চিরকুট। এরই মাঝে বিশেষ চমক হিসেবে থাকছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রাফিক্যাল রিপ্রেজেন্টেশনসহ নানা আয়োজন। এছাড়া এবার প্রতিটি ব্যান্ড ও শিল্পী নিজেদের গানের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানগুলো পরিবেশন করবেন।