করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সংগীতশিল্পী কনিকা কাপুর। শুক্রবার (২০ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে তার বাবা রাজিব কাপুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এমনকি কনিকা নিজেও তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
কনিকা কাপুর হচ্ছেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রথম তারকা যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে লন্ডন থেকে ফেরার পর লখনৌতে তিনটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন কনিকা কাপুর। যেখানে উপস্থিত ছিলো প্রায় ৪শ’ মানুষ। এমনটাই জানিয়েছেন কনিকার বাবা। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করছেন এই সংগীতশিল্পী। তিনি জানান- তিনটি নয়, শুধুমাত্র একটি গেট-টুগেদারে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে, কনিকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে সম্বোধন করছেন সকলে। কেনো তিনি বিদেশ থেকে ফিরে ১৪ দিন সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) থাকেনি এ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
তবে এসবের চাইতেও চমকপ্রদ তথ্য হলো- বলিউডের এই সংগীতশিল্পীর এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের কারণে তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন ইউপি পুলিশ। তিনি নাকি তার বিদেশ থেকে আসার কথা না জানিয়ে ওই পার্টি তিনটিতে অংশ নিয়েছিলেন।
ওই পার্টি তিনটিতে অংশ নিয়ে কনিকা শুধু নিজের নয়, অন্যদের জীবনও ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করছে উত্তর প্রদেশ সরকার। জানা গেছে- কনিকা যে জায়গাগুলোতে পার্টি করতে গিয়েছিলেন সে জায়গাগুলো ইতিমধ্যে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষ নয়, কনিকার এমন কাণ্ডে প্রশ্ন তুলছেন তারকারাও।
কনিকার ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। আর কনিকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর তিনি সঙ্গরোধে চলে গিয়েছেন।
জানা গেছে- কনিকা যে পার্টিগুলোতে গিয়েছিলেন সেখানে উপস্থিত সকলকে সঙ্গরোধে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, কনিকার তার পোস্টে জানিয়েছিলেন- তিনি বিমানবন্দরে নামার পর তার স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কিন্তু সেসময় তার মধ্যে করোনার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।
কিন্তু ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করছে, কনিকা যখন লখনৌ বিমানবন্দরে পৌঁছান তখন নাকি তিনি স্ক্রিনিং ফাঁকি দিতে ওয়াশরুমে গিয়ে লুকিয়েছিলেন। যদিও বা এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেননি তিনি।