দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ধারাবাহিক নাটকের পরিচিত মুখ শামীম হাসান সরকার। ধারাবাহিক নাটকের বাইরে একক নাটকেও নজর কেড়েছেন তিনি। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতিতে এখন আর নাটক নিয়ে ব্যস্ততা নেই তার। সেই ফাঁকে মোবাইল ফোনে শামীমকে ধরেছেন কৌশিক।
বার্তা২৪:কম: বাসায় বসে কি করছেন সারাদিন...
শামীম: বাসার বেশিরভাগ সময়টায় বই পড়ে কিংবা মুভি দেখেই কাটতো। রোজার শুরু থেকেই নিয়মিত নামাজ পড়ছি। এছাড়াও পরিবারর সাথেই সময় কাটাচ্ছি; একসাথে আড্ডা দিচ্ছি ছাদে, যেটা কাজের চাপে সবসময় হয়ে উঠতো না।
বার্তা২৪:কম: রোজার কথা বলছিলেন, তা অতীতের রোজা আর এবারের রোজার পার্থক্য কি?
শামীম: এই পার্থক্যটাও বিশাল, একদম ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি। এই ব্যস্ত জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রতিবারের রোজায় সময় কাটতো শপিং করে, শুটিং করে, বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টি কিংবা সেহেরি নাইট, এসবেই আটকে থাকতো জীবনটা। ব্যাপারটা এবার পুরোটাই ভিন্নভাবে রূপ নিয়েছে, একদম ছোটবেলার জনজীবনে ফিরে গিয়েছি, সবসময় বাসায় থাকা, পরিবারের সাথে ইফতার সেহেরি মিলেমিশে খাওয়া।
বার্তা২৪:কম: এবারের ঈদে কাজের পরিকল্পনা কেমন ছিলো...
শামীম: এবারের ঈদে বেশকিছুই কাজের পরিকল্পনা ছিলো যা কিছুই হচ্ছেনা। এবারের ঈদে আমার কোনো কাজ আসছে না ব্যাপারটা খুবই ভাবাচ্ছে। যেদিন থেকেই আমাদের ঈদের কাজ শুরু করার কথা ঠিক সেদিন থেকেই আমরা ঘরবন্দি সবাই। আমার ইউটিউব চ্যানেল ম্যাংগো স্কোয়াডের পক্ষেও বেশকিছু কাজ উপহার দেওয়ার বেশ পরিকল্পনা ছিলো এই ঈদে, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে কিছুই হচ্ছেনা আর।
বার্তা২৪:কম: করোনা পরবর্তী সময়ে মিডিয়া বড় ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে?
শামীম: করোনার প্রকোপ কমে গেলেও আগামী ৬ মাসেও আমরা মিডিয়াতে ফিরতে পারবো কিনা সন্দেহ। এছাড়াও প্রকোপ চলে গেলেও মিডিয়া কিংবা সব জায়গাতেই করোনার ছোঁয়াটা অনেকদিন থাকবে। এরমধ্যেই আমাদের মানসিকভাবে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে। ইতোমধ্যেই শুধু আমরাই নই, পুরো বিশ্বই বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমার বিশ্বাস খুব দ্রুতই এই অন্ধকার জীবন চলে যাবে এবং আমরা সবাই আবার আগের মতোই কাজে ফিরে একসাথে দেশের মানুষকে ভালো ভালো কাজ উপহার দিয়ে যাবো।