না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী সরোজ খান। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত ২০ জুন বান্দ্রার গুরু নানক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সরোজ খান। তিনি সুস্থও হয়ে উঠেছিলেন বলেও জানা গিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা আর হল না!
বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাত ২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সরোজ খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর। সরোজ খানের মৃত্যুতে বিনোদন জগতে
নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় প্রথমে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করালে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
সরোজ খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন- কারিনা কাপুর খান, শিল্পা শেঠি, মাধুরী দীক্ষিত, অক্ষয় কুমারসহ বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই।
১৯৪৮ সালের ২২ নভেম্বর মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সরোজ খান। তার আসল নাম ছিল নির্মলা নাগপাল। মাত্র তিন বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে তার ক্যারিয়ারের শুরু।
১৯৫০-এর দশকে তিনি যোগ দেন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তৎকালীন প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার বি সোহনলালের সঙ্গেই। তাঁকেই তিনি আজীবন নিজের গুরু মেনে এসেছেন। স্বাধীন কোরিওগ্রাফার হিসেবে তার কাজ শুরু ১৯৭৪ সালে ‘গীতা মেরা নাম’ ছবি দিয়ে।
১৯৮৭ সালে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ১৯৮৬ সালের ‘নাগিনা’, ১৯৮৯ সালে ‘চাঁদনি’, ১৯৮৮ সালে ‘তেজাব’ এবং ১৯৯০ সালে ‘থানেদার’ ছবি তাকে বলিউডে প্রতিষ্ঠা দেয়। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘হাম দিল দে চুকে সানম’, ‘দেবদাস’, ‘জাব উই মিট’–এর মতো ছবির নাচের দৃশ্যও তার নির্দেশনায় সফল হয়েছে।